Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

বীরভূমে ক্রমশই বাড়ছে সংক্রমিতের সংখ্যা, ফের তিনজনের শরীরে করোনার থাবা

এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় করোনা আক্রান্ত মোট ৬ জন।

Three people tested covid 19 positive in West Bengal's Birbhum
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 6, 2020 8:31 pm
  • Updated:May 6, 2020 8:31 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বীরভূমে ফের তিনজনের শরীরে করোনার থাবা। তাঁদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি দুবরাজপুর থানার নারায়ণপুর গ্রামে। অন্যজন রামপুরহাট থানার বগটুই পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। পুলিশ তিনজনকেই উদ্ধার করে দুর্গাপুরের কোভিড হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

রামপুরহাটের করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়ি মল্লারপুর থানার বিশিয়া গ্রামে হলেও তাঁরা রামপুরহাট বগটুই পশ্চিমপাড়ার মামার বাড়িতে থাকত। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কলকাতায় কাজ করত। সেখান থেকে ২৭ এপ্রিল কখনও ডাম্পারে, কখনও মোটরবাইকে, পায়ে হেঁটে সিউড়ি পৌঁছয়। সন্ধের দিকে নলহাটির এক যুবকের মোটরবাইকে রামপুরহাটে আসে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বাড়ি ফিরে ওই যুবক গোটা গ্রাম ঘুরে বেড়ায়। আশাকর্মীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ২৯ এপ্রিল তাঁকে রামপুরহাট কিষাণ মাণ্ডিতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।

Advertisement

সেখান থেকে তাঁর লালারস পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। প্রথম দিকে তাঁর লালারস পরীক্ষায় করোনা ধরা পড়েনি। তাঁকে কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে ফের বছর আঠারোর ওই কিশোর গ্রামে ঘুরে বেড়ায়। আশাকর্মীদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ছবি তোলে। বুধবার বিকেলে তাঁকে ফের বগটুইয়ের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

[আরও পড়ুন: করোনা সংকটের মাঝেও সুখবর, সুন্দরবনে বাড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা]

প্রশ্ন উঠছে চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত তাঁকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার থেকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অন্য আধিকারিকের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন। দায়িত্বে থাকা রামপুরহাট সিএমওএইচ ওয়ান কোনও কথা বলতে চান নি। তাছাড়া সন্দেহভাজন একজনকে ছাড়ার পর তাঁর উপর প্রশাসনের নজরদারি ছিল না কেন? অন্যদিকে দুবরাজপুর থানার নারায়ণপুর থেকে ক্যানসার রোগের চিকিৎসা করাতে কাকা ও ভাইপো মুম্বইয়ের টাটা হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সরকারি অনুমোদন পেয়ে গত ২৭ এপ্রিল তাঁরা মুম্বই থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে জেলায় ফেরে। প্রথম দিন থেকেই তাঁদের বক্রেশ্বর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল।

অন্যদিকে, দিনপাঁচেক আগেই মল্লারপুরের বানাসপুর এবং মহুরাপুর গ্রামে দুই মহিলার করোনা ধরা পড়েছে। তাঁদের এক নিকট আত্মীয় মুর্শিদাবাদের তালোয়া গ্রামের বাসিন্দারও করোনা ধরা পড়ে। ফলে এক সপ্তাহের মধ্যে জেলায় ৬ জন করোনা আক্রান্ত হল। সকলকেই দুর্গাপুর কোভিড হাসপাতালে ভরতি।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া, সুরক্ষা নিশ্চিত করে চেম্বারে ফিরলেন চিকিৎসকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement