অভিষেক চৌধুরী, কালনা: একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। বিছানায় মশারির ভিতর থেকে উদ্ধার এক মহিলা এবং তাঁর ছেলের দেহ। পাশের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার মহিলার ভাইয়ের দেহ। মন্তেশ্বরের (Manteswar) খান্দরা গ্রামের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিদি এবং ভাগ্নেকে খুনের পর ওই ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন।
নিহত বছর পঞ্চাশের মালবিকা চক্রবর্তী খান্দরার বাসিন্দা। প্রায় ১৫-১৬ বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর স্বামীর। ছেলে কৌশিককে সঙ্গে নিয়েই বাস করতেন তিনি। তাঁর একটি মেয়েও রয়েছে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। বেশ কয়েকবছর আগে নাদনঘাট থানার দীর্ঘপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ার ভাই উৎপল চট্টোপাধ্যায় দিদির বাড়িতে বসবাস করতে শুরু করেন।
রবিবার সকালে মালবিকার পরিচারিকা আসেন। ডাকাডাকি করে তাঁর সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তিনি মহিলার মেয়ে, জামাইকে সেকথা জানান। এরপরই ওই প্রৌঢ়ার মেয়ে ও জামাই ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন তাঁরা। উৎপল চট্টোপাধ্যায়কে একটি ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পাশের ঘরটিতে তালা দেওয়া ছিল। ওই ঘরে ঢুকে হকচকিয়ে যান তাঁরা। ওই ঘরে আর ঢোকেননি তাঁরা। খবর দেওয়া হয় মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বন্ধ ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দেখা যায় বন্ধ ঘরে মশারি টাঙানো রয়েছে। বিছানায় শুয়ে রয়েছেন প্রৌঢ়া এবং তাঁর ছেলে। এরপর তিনজনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর পরিমাণ ঘুমের ওষুধ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিদি এবং ভাগ্নেকে খুন করে আত্মহত্যা করেন উৎপল। স্থানীয়দের দাবি, বেশ কয়েকদিন ধরে দিদি ও ভাগ্নের সঙ্গে মনোমালিন্য হচ্ছিল উৎপলের। সে কারণেই হয়তো তিনি দিদি এবং তাঁর ছেলেকে খুন করেছেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মৃতার মেয়ে এবং জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.