ছবি: প্রতীকী
সুরজিৎ দেব, ডায়মণ্ড হারবার: ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। জানা গিয়েছে, বারুদ ভরতি ড্রামে আগুন লেগে বিস্ফোরণ ঘটে ওই কারখানায়। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৩টি ইঞ্জিন। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন কারখানার তিন কর্মী। অভিযোগ, বিস্ফোরণের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে এলাকার বেআইনি বাজি বিক্রেতাদের হাতে আক্রান্ত হন এক চিত্র সাংবাদিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার নুঙ্গির চিংড়িপোতা এলাকায় পরপর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তাঁরা বেরিয়ে দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে কারখানাটি। খবর পেয়ে মহেশতলা ও বজবজ ও বেহালা থেকে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। সঙ্গে ছিল মহেশতলা থানার পুলিশ। তবে, কারখানার সামনের রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলের ইঞ্জিন প্রবেশে বেশ সমস্যা তৈরি হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন স্থানীয়রাই। দমকল ও স্থানীয়দের বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তবে এখনও কালো ধোঁয়ায় ঢাকা গোটা এলাকা। জানা গিয়েছে, ওই বেআইনি বাজি কারখানায় ছ’টি ড্রামে বারুদ মজুত করা ছিল। তার মধ্যে ২টি ড্রামে আগুন লেগেই ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে কারখানায়। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের সময় কারখানায় ছিলেন তিনজন কর্মী। স্থানীয়দের তৎপরতায় কারখানার ভিতর থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ওই কর্মীদের। তাঁদের প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে অনুপ দলুই নামে এক শ্রমিকের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাকি ২ জনকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
এই আগুনের খবর করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন এক চিত্রসাংবাদিক। অভিযোগ, এলাকার কয়েকজন বেআইনি বাজি বিক্রেতা ওই চিত্রসাংবাদিককে এলাকার একটি ঘরে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও মহেশতলা পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের তৎপরতায় ছাড়া পান ওই ব্যক্তি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কারখানায় বেআইনিভাবে শব্দ বাজি তৈরি করা হত। এর আগেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি বাজি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে একাধিক ব্যক্তির। সেই দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা নেয়নি বাজি কারখানাগুলি। এর জেরেই একের পর এক ঘটে চলেছে দুর্ঘটনা। ঘটনায় এখনও আতঙ্কে স্থানীয়রা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.