দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: রাস্তার পাশে একের পর এক পড়ে রয়েছে দেহ। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চতুর্দিক। দেহের পাশ থেকে উদ্ধার বোমার খোল। হাড়হিম করা কাণ্ড ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রামে। পঞ্চায়েত সদস্য এবং দুই তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে গলা কেটে খুনের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাঝি, ভূতনাথ প্রামাণিক এবং ঝন্টু মাঝি নামে দুই তৃণমূল সদস্য বাড়ি থেকে বেরন। তাঁরা প্রত্যেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিংয়ের (Canning) গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ধর্মতলা এলাকার বাসিন্দা। ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তাঁরা তিনজনই বাইক চড়ে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, পিয়ার পার্কের কাছে দুষ্কৃতীরা তাঁদের পথ আটকায়। স্বপনকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। ভয় পেয়ে ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন ভূতনাথ এবং ঝন্টু। তবে দুষ্কৃতীরা তাঁদেরও লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর গলার নলি কাটা হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা।
স্থানীয়রা দেখেন, রক্তে ভেসে যায় চতুর্দিক। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে তিনটি দেহ। বাইকগুলিও পড়ে যায়। মৃতদেহগুলির পাশ থেকে বোমার খোল উদ্ধার করা হয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই নিহতদের পরিজনেরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। খবর পায় ক্যানিং থানার পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের অনুমান, গুলি করে খুনের পর গলার নলি কেটে দেওয়া হয় নেতা এবং দুই তৃণমূল কর্মীর।
কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। এই খুনের ঘটনা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে চাপানউতোর। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, এই ঘটনার নেপথ্যে বিজেপিই রয়েছে। তবে এভাবে তৃণমূলকে দমিয়ে রাখা যাবে না বলেও চ্যালেঞ্জ তাঁর। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের বলেই পালটা দাবি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.