সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: মোটা টাকা এবং সোনার গয়নার লোভ দেখিয়ে তরুণীকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তিনজনের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অঙ্গদপুরের বাসন্তীপল্লির ঘটনা। বলি দেওয়ার চক্রান্ত নাকি দেহব্য়বসা করানোর চেষ্টা, তরুণীকে টোপ দিয়ে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় রহস্যের ভিড়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন বছর একুশের তরুণী। অভিযোগ, দু’জন যুবক প্রায় সবসময়ই নজরদারিতে রাখত তাঁকে। রীতিমতো আতঙ্কেই দিন কাটছিল তরুণীর। মঙ্গলবার সন্ধেয় ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অঙ্গদপুরের বাসন্তীপল্লির ওই তরুণীর বাড়িতে হানা দেয় সমীর বিশ্বাস, নারায়ণ বিশ্বাস এবং জ্যোৎস্না নামে তিনজন। অভিযোগ, তাকে জোর করে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তারা। তবে তাতে বাধা দেন তরুণীর বাবা। সাত লক্ষ টাকা এবং সোনার গয়নার লোভ দেখানো হয় তাঁর বাবাকে। অজানা ওই তিনজনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয় ক্লাব কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হন তরুণীর বাবা। পাড়ার মেয়েকে উত্যক্ত করা হচ্ছে শুনে রেগে যান ক্লাব সদস্যরা। তড়িঘড়ি ওই তরুণীর বাড়িতে আসেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে স্থানীয় কাউন্সিলর স্বরূপ মণ্ডল। আটক করে রাখা হয় মহিলা এবং পুরুষ-সহ তিনজনকেই। খবর পৌঁছায় কোকওভেন থানাতেও। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উন্মত্ত জনতার হাত থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে উদ্ধার করে। গ্রেপ্তার করা হয় তাদের।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সমীর বিশ্বাস কোকওভেন থানার বীরভানপুরের বাসিন্দা। নারায়ণ বিশ্বাস এবং জ্যোৎস্না নদিয়ায় থাকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন একটাই টাকা এবং গয়নার টোপ দিয়ে কেন তরুণীকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইল ওই তিনজন? তরুণীর পরিবারের দাবি, সামনেই কৌশিকী অমাবস্যা। আর ওইদিনই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির আশায় তরুণীকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ধৃতরা। আবার কারও দাবি, তরুণীকে দিয়ে দেহব্যবসা করানোর জন্যই নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল তিনজন। যদিও পুলিশের তরফে এখনও নিশ্চিতভাবে কিছুই জানানো হয়নি। ধৃতদের জেরা করে ঘটনার কিনারা করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।
ছবি: উদয়ন গুহ রায়
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.