Advertisement
Advertisement

Breaking News

একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু, চাঞ্চল্য পুরুলিয়াতে

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু কিনা তদন্তে পুলিশ।

Three of a family found dead in Purulia

ছবিতে গোপ বাড়ির রান্নাঘর, ছবি: সুমিতা সিং।

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:September 8, 2018 12:40 pm
  • Updated:September 8, 2018 12:40 pm  

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: একই পরিবারের তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ালো পুরুলিয়াতে। মৃতরা হল রঞ্জিত গোপ (১১), রুম্পা গোপ (১৩) ও বিকাশ গোপ (৩২)। রুম্পা ও রঞ্জিত সম্পর্কে ভাইবোন। অন্যদিকে, মৃত বিকাশবাবু তাদের জামাইবাবু। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে এদের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গোপ পরিবারের বাকি তিন সদস্য গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পুরুলিয়া দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শহর পুরুলিয়ার ছ’নম্বর ওয়ার্ডের পুর্ণিয়া বাঁধ এলাকায়।

পুলিশ সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন তিনজনের মধ্যে রয়েছেন বাড়ির কর্তা রথু গোপ, তাঁর স্ত্রী মঞ্জু গোপ ও মেয়ে টুম্পা গোপ। শুক্রবার বিকেলে স্বামী বিকাশকে নিয়ে বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসেন টুম্পাদেবী। তাঁর শ্বশুরবাড়ি স্থানীয় বরাবাজার থানা এলাকায়। এদিকে মেয়ে জামাই এসেছে দেখে মুরগfর মাংস নিয়ে আসেন রথু গোপ। রাতে তাই দিয়েই জামাইকে আপ্পায়ন করা হয়। খাওয়ার সময় কোনও সমস্যা হয়নি। রাতে ঘুমনোর পর কিছু ঘটে থাকলেও থাকতে পারে। তবে অসুস্থ তিনজন যতক্ষণ না স্বাভাবিক হচ্ছেন ততক্ষণ কিছুই জানা যাবে না। তদন্তের স্বার্থে গোপবাড়ি থেকে রাতের খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই মাংসের ঝোলে কোনওরকম বিষক্রিয়া হয়েছিল কি না তা জানতে ইতিমধ্যে কলকাতার বেলগাছিয়া ল্যাবরেটরিতে নমুনা পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[সিগন্যালিংয়ের কাজের জের, আজও শিয়ালদহ মেন শাখায় ব্যাহত ট্রেন চলাচল]

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রথুবাবু ঠেলায় করে তেলেভাজা, ঘুগনি বিক্রি করেন। স্থানীয় শিমুলিয়া এলাকায় তিনি ঠেলা নিয়ে ফেরি করে বেড়ান। তাই ভোর থাকতেই মঞ্জুদেবী স্বামীর খাবার গুছিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে ব্যবসার রান্নাবান্নাও করে দেন। এদিকে শনিবার ভোরে গোপবাড়ির কোনও সদস্যকে বাড়ির বাইরে দেখা যাচ্ছিল না। বড়মেয়ে টুম্পা এসেছে, প্রতিবেশীদের কাছে খবর ছিল। তাই প্রথম দিকটায় কেউই বিষয়টিতে গা করেননি। কিন্তু বেলা বাড়লেও কোনও সাড়াশব্দ না আসায় চিন্তিত প্রতিবেশীরা গোপ বাড়ির দরজায় টোকা দিতে থাকেন। তাতেও কোনও জবাব না আসাতে পুরুলিয়া সদর থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় ছ’জনকে উদ্ধার করে। প্রত্যেকের মুখ থেকে গেঁজলা বেরিয়ে আসছিল। তড়িঘড়ি তাঁদের সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তিনজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

[সংশোধনাগারে উদ্ধার বাংলাদেশি বন্দির ঝুলন্ত দেহ, চাঞ্চল্য জলপাইগুড়িতে]

 

ছবি: সুনীতা সিং

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement