পলাশ পাত্র, তেহট্ট: অনিশ্চয়তার মাঝেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি পদপ্রার্থী ডাঃ মুকুটমণি অধিকারী। তবে অনুমানই সত্যি হল। নো অবজেকশন সার্টিফিকেট না মেলায় খারিজ হয়ে গেল তাঁর মনোনয়ন। রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হলেন নদিয়া বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ সরকার। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে মুকুটমণি জানিয়েছেন, ‘যেই প্রার্থী হোন, আমি দলের পাশে আছি।’
রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন পেশকে কেন্দ্র প্রথম থেকেই সৃষ্টি হয়েছিল জটিলতা। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছিল দলের অন্তর্কলহও। কারণ, একই কেন্দ্রে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন বিজেপির ৪ প্রার্থী। তবে দলের তরফে জানানো হয়েছিল, মুকুটমণি অধিকারীর চাকরিতে ইস্তফা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। ফলে তাঁর মনোনয়ন আদৌ গৃহীত হবে কিনা সেই দোলাচল থেকেই দু’জন প্রার্থীকে মনোনয়ন পেশের অনুমতি দিয়েছিল দল। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৯ (এ) ১৯৫১ আরপি অ্যাক্টে বাতিল করা হল মুকুটমণি অধিকারীর মনোনয়নপত্র।
নদিয়ার বাদকুল্লা হাসপাতালের চিকিৎসক তথা রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের পদপ্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, নো অবজেকশ সার্টিফিকেট না দিতে পারার ফলেই তাঁর মনোনয়নপত্র খারিজ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, ‘দল প্রথম থেকে আমার পাশে থেকেছে। দল চেষ্টা করেছে। আমি দলের প্রতি কৃতজ্ঞ।’ পাশাপাশি যে কোনও পরিস্থিতিতে দলের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে অধ্যাপক মানবেন্দ্র রায় ও বিজেপি নেতা সুজিত বিশ্বাসের মনোনয়নও খারিজ করা হয়েছে। কারণ, দলের অনুমতিপত্র ছাড়াই মনোনয়ন পেশ করেছিলেন তাঁরা। ফলত, রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হলেন জগন্নাথ সরকার। তবে দলের পাশে থাকলেও প্রার্থীর পাশে থাকবেন কি মুকুটমণি? তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। কয়েকদিনের টানাপোড়েনের পর প্রার্থী পরিবর্তন কীভাবে নেবেন সাধারণ মানুষ? তাও ভাবাচ্ছে দলকে। তবে মনোনয়ন খারিজ হওয়ার পর চাকরির ইস্তফার সিদ্ধান্ত কি বদল করবেন মুকুটমণি অধিকারী? সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সব মহলে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.