Advertisement
Advertisement

নৃশংসভাবে পরিবারকে খুন, প্রথমবার ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড শিলিগুড়ি আদালতের

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে পরিবারের ৩ জনকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়৷

Three murder convicts awarded death penalty by Siliguri court
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 29, 2019 5:10 pm
  • Updated:June 29, 2019 5:10 pm  

সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: একটি পরিবারকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে ৩ জনকে ফাঁসির সাজা শোনাল শিলিগুড়ি মহকুমা আদালত৷ যা আদালতের রায়দানের ইতিহাসে এই প্রথম৷ খুনি সহদেব বর্মন, দীপু সূত্রধর এবং চিরঞ্জিত মোদককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে৷ যদিও এই রায়ের বিরোধিতায় উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিদের আইনজীবী৷

[আরও পড়ুন: কাটমানি ইস্যুতে এবার সোনামুখির পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার বিজেপির]

ঘটনা ২০১৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরের৷ শিলিগুড়ির শিবমন্দির এলাকায় বাড়ি তৈরি করছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী প্রদীপ বর্ধন৷ মাস দেড় আগেই বাড়িতে কাঠের কাজ করছিল তিন অভিযুক্ত সহদেব, দীপু এবং চিরঞ্জিত৷ সেসময়ই তারা প্রদীপ বর্ধনের সম্পত্তি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হয়৷ সেইমতো ডাকাতির পরিকল্পনা করতে থাকে৷ এরপর ঘটনার দিন মালদহের তিন কাঠমিস্ত্রি প্রদীপবাবুর বাড়িতে এসে ফের কাজ করতে চায়৷ আগেকার মতো বাড়িতে থেকেই কাজ করার অনুমতি দেন প্রদীপবাবু৷ আর ওইদিনই পুরোপুরি পরিকল্পনা করেই খুন করা হয় প্রদীপবাবু, তাঁর স্ত্রী দীপ্তি এবং ছেলে প্রসেনজিৎকে৷

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিন রাতে বছর পঁয়ষট্টির প্রদীপবাবুকে নির্মীয়মাণ দোতলার একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে রঙের পাত্র মাথায় চাপিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়৷ তারপর নিচে নেমে দীপ্তিদেবী এবং প্রসেনজিৎকে বিছানার চাদর পেঁচিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়৷ তবে এত কাণ্ড ঘটানোর পরও বাড়ি থেকে জিনিসপত্র নিতে পারেনি খুনিরা৷

তদন্তে নেমে শিলিগুড়ি পুলিশ বেশ কয়েকটি সূত্র হাতে পায়৷ পুলিশ কুকুরকে দিয়ে তল্লাশি চালানোর পর বোঝা যায়, ওইদিন হত্যাকাণ্ডের পর বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের একটি নদীতে গিয়ে হাত,পা ধুয়ে নেয় খুনিরা৷ নদীতে ফেলে দেওয়া হয় খুনের সরঞ্জাম৷ এরপর তিনজন তিন দিকে পালিয়ে যায়৷ তবে ঘটনার দুদিনের মধ্যেই একজন ধরা পড়ে পুলিশের হাতে৷ তার সূত্র ধরেই বাকি দু’জন ধরা পড়ে৷ চার বছর ধরে চলছিল সেই মামলা৷

[আরও পড়ুন: স্থায়ীকরণ ও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কর্মবিরতিতে সাফাইকর্মীরা, জমছে আবর্জনা]

শনিবার, শিলিগুড়ি মহকুমার আদালতের বিচারক দেবপ্রসাদ নাথ তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনান৷ সরকারি আইনজীবী পীযূষ ঘোষ বলেন, নৃশংসতার বিচারে এবং অপরাধের গুরুত্বের ভিত্তিতে বিচারক মৃ্ত্যুদণ্ড দিয়েছেন৷ তবে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী চন্দন ঘোষ জানিয়েছেন, মহকুমা আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করা হবে৷ এতদিন পর রায়দানে কিছুটা স্বস্তিতে পরিবারের আত্মীয়রা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement