Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ashoknagar

চা খাওয়াতে ডেকে মদ্যপান করিয়ে কিশোরীকে গণধর্ষণ! গ্রেপ্তার নাবালক প্রেমিক-সহ ৩

অশোকনগরের ১৩ নং ওয়ার্ড এলাকা অন্ধকার থাকায় সেই সুযোগে কুকীর্তি হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল তরজা শুরু।

Three including teenager arrested in Ashoknagar allegedly physical assault of girlfriend
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 22, 2024 10:48 pm
  • Updated:November 22, 2024 11:00 pm  

অর্ণব দাস, বারাসত: প্রাথমিক স্কুলের পিছনে অন্ধকারে নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল নাবালক প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের এই ঘটনা জানাজানি হয় শুক্রবার। আর তার পর থেকেই তোলপাড় পড়ে যায় অশোকনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পরে অভিযুক্ত তিনজন। তাদের পরিচয় জানা গিয়েছে। সৌভিক মণ্ডল, বয়স ১৯ বছর, বছর পঁচিশে মিহির বিশ্বাস ও বছর সতেরোর কিশোর, যে ওই নাবালিকার প্রেমিক।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সতেরো বছরের ওই ছেলেটির। প্রেমিকাকে নিয়ে চা খাবে বলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে প্রেমিক। তার উপর ভরসা করে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে নাবালিকা। তখনই তাকে মদ্যপানের প্রস্তাব দিয়ে অশোকনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শিক্ষা নিকেতন প্রাইমারি স্কুলের পিছনে নিয়ে যায় প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু। সেখানে শুরু হয় মদের আসর।

Advertisement

অভিযোগ, কিশোরীকে মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করে প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। ভয়ে, লজ্জায় নাবালিকা প্রথমে পরিবারকে কিছু বলতে না চাইলেও পরে সবটা জানায়। শুক্রবার বিকেলে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তৎক্ষণাৎ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার পাশেই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়ি। এনিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর তারক দাসের প্রতিক্রিয়া, ”অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। এলাকাটি অন্ধকার থাকার ফলে, অপরাধ করতে যথেষ্ট সাহস পেয়েছে ওরা। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।” অন্ধকার ওই এলাকায় আলো বসানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি। যদিও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল নেতা গুপী মজুমদার পালটা দিয়ে বলেন, ”পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। কিন্তু যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তা কাউন্সিলরের বাড়ির কাছে। কাউন্সিলরের উচিত ছিল অন্ধকার জায়গায় আগেই আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজনই অভিযোগ স্বীকার করেছে। রাতেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement