অর্ণব দাস, বারাসত: প্রাথমিক স্কুলের পিছনে অন্ধকারে নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল নাবালক প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরের এই ঘটনা জানাজানি হয় শুক্রবার। আর তার পর থেকেই তোলপাড় পড়ে যায় অশোকনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। তবে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পরে অভিযুক্ত তিনজন। তাদের পরিচয় জানা গিয়েছে। সৌভিক মণ্ডল, বয়স ১৯ বছর, বছর পঁচিশে মিহির বিশ্বাস ও বছর সতেরোর কিশোর, যে ওই নাবালিকার প্রেমিক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ষোলোর নাবালিকার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সতেরো বছরের ওই ছেলেটির। প্রেমিকাকে নিয়ে চা খাবে বলে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে ফোন করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে প্রেমিক। তার উপর ভরসা করে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে নাবালিকা। তখনই তাকে মদ্যপানের প্রস্তাব দিয়ে অশোকনগর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাগরিক শিক্ষা নিকেতন প্রাইমারি স্কুলের পিছনে নিয়ে যায় প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু। সেখানে শুরু হয় মদের আসর।
অভিযোগ, কিশোরীকে মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে বেহুঁশ করে প্রেমিক ও তার দুই বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করে। ভয়ে, লজ্জায় নাবালিকা প্রথমে পরিবারকে কিছু বলতে না চাইলেও পরে সবটা জানায়। শুক্রবার বিকেলে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। তৎক্ষণাৎ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের পাকড়াও করে পুলিশ। যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তার পাশেই কংগ্রেস কাউন্সিলরের বাড়ি। এনিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর তারক দাসের প্রতিক্রিয়া, ”অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা। এলাকাটি অন্ধকার থাকার ফলে, অপরাধ করতে যথেষ্ট সাহস পেয়েছে ওরা। দোষীদের কঠোর শাস্তি চাই।” অন্ধকার ওই এলাকায় আলো বসানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি। যদিও কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তৃণমূল নেতা গুপী মজুমদার পালটা দিয়ে বলেন, ”পুলিশ যথেষ্ট তৎপর। কিন্তু যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে তা কাউন্সিলরের বাড়ির কাছে। কাউন্সিলরের উচিত ছিল অন্ধকার জায়গায় আগেই আলো লাগানোর ব্যবস্থা করা।” পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত তিনজনই অভিযোগ স্বীকার করেছে। রাতেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। শিগগিরই তদন্ত শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.