ছবি: প্রতীকী
স্টাফ রিপোর্টার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দিনে দুপুরে অপহরণ। স্কুলের গেট থেকে দশম শ্রেণির তিন ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগের তির এলাকারই যুবকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মুখে কাপড় বেঁধে তিন ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। ছাত্রীদের পরিবারের দাবি, তিনজনকে অপহরণ করে কলকাতা পাচার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামনগর থানা এলাকার খড়দো পঞ্চায়েতের চাঁদা হাইস্কুলে।
অপহরণকারীদের তালিকায় রয়েছে স্থানীয় দুই অভিযু্ক্ত। তাদের নাম চিরঞ্জিৎ সর্দার ও ভুন্ডুল পাইক। ঘটনার পরে পরেই শনিবার রামনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে নিখোঁজ ছাত্রীদের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় অপহরণের অভিযোগ স্বীকারও করে নিয়েছে ধৃতরা। জানিয়েছে পাচারের উদ্দেশ্যেই ওই তিন ছাত্রীকে অপহরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত আরও তিন অভিযুক্তের হালহকিকতও জানিয়েছে ধৃতরা। তিন অভিযুক্তের বাড়ি বেহালার পৈলান এলাকায়। তবে তদন্তের খাতিরে তাদের নাম প্রকাশ্যে আনেনি পুলিশ। ইতিমধ্যেই পৈলান এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও অপহৃত ছাত্রীদের কোনও হদিশ মেলেনি।
জানা গিয়েছে, তিনি ছাত্রীর পরিবারের কোনও রকম আর্থিক সচ্ছলতা নেই। রীতিমতো কষ্টেই সংসার চলে। তিনজনের মধ্যে কোনও একজনের বাবা নেই। কোনও ছাত্রীর মা বাড়ি বাড়ি পরিচারিকার কাজ করেন। এত অভাবের মধ্যেও পড়াশোনায় অবহেলা ছিল না। বাড়ি লাগোয়া চাঁদা হাইস্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী তিনজন। অপহৃত ছাত্রীদের পরিবারের প্রশ্ন, কী করে স্কুলের গেট থেকে মেয়েরা অপহৃত হল? স্কুলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে।
পরিবারের দাবি, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালে স্কুলে যায় তিন বন্ধু। তারপর খবর ছড়ায়, মাঠের মধ্যে পাঁচজন মিলে তাদের মুখে কাপড় বেঁধে গাড়িতে করে তুলে নিয়ে গিয়েছে। এর পরেই পরিবারের সদস্যরা স্কুলে যান। সেখান থেকে রামনগর থানা। অভিভাবকদের অভিযোগ, গাড়ি করে সরিষা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয় মেয়েদের। তারপর স্থানীয় চিরঞ্জিৎ ও ভুন্ডুলকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয় তিন অভিযু্ক্ত। যদিও অপহৃতরা গাড়ির মধ্যেই ছিল। অন্যদিকে ধৃত ভুন্ডুল ও চিরঞ্জিৎ থাকত চাঁদা গ্রামে তাদের মামার বাড়িতে। ভূন্ডুলের মাধ্যমে ছাত্রীদের সঙ্গে আলাপ হয় চিরঞ্জিতের। পরিকল্পিতভাবেই তিন ছাত্রীকে পাচার করা হয়েছে। এমনই দাবি অপহৃতদের পরিবারের। গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত স্কুলের ছাত্রী ও অভিভাকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.