সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: নিম্নচাপের কারণে খারাপ আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ ধরে মোহনায় ঢোকার মুখে উলটে গেল মাছ ধরার একটি ট্রলার। শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার জম্বুদ্বীপের কাছে। ট্রলারে থাকা ১২ জন মৎসজীবীকে (Fisherman) উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও নিখোঁজ তিনজন। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়েও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ ও মৎস্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, খারাপ আবহাওয়ার কারণে সরকারি নির্দেশে ১৪ আগস্টের মধ্যেই সমস্ত ট্রলারকে ঘাটে ভিড়তে বলা হয়েছিল। সেইমতো প্রায় সব ট্রলারই নিরাপদ দূরত্বে ফিরে এলেও কয়েকটি ট্রলার ফিরতে দেরি করে। শনিবার সন্ধেয় বঙ্গোপসাগর থেকে ফিরছিল এফবি প্রসেনজিৎ নামে একটি মাছ ধরার ট্রলার। ট্রলারটিতে ছিলেন ১৫ জন মৎসজীবী। সমুদ্র উত্তাল থাকায় ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানার জম্বুদ্বীপের কাছে ট্রলারটি উলটে যায়। কাছাকাছি থাকা এফবি মহাভারত নামে অন্য একটি ট্রলার দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলারের ১২ জন মৎসজীবিকে সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধার করে। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের ট্রলারে তুলে নেন। কিন্তু উলটে যাওয়া ট্রলারের তিনজন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা আর তাঁদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। জলের তোড়ে নিখোঁজ হয়ে যান ওই তিন মৎস্যজীবী। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন কাকদ্বীপের কালীনগরের বাসিন্দা কৃষ্ণ দাস, কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গাধরপুরের প্রদীপ বিশ্বাস এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা শিবু বিশ্বাস।
কাকদ্বীপ ফিশারমেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি জানান, দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই মৎস্যজীবীদের কয়েকটি ট্রলার নিখোঁজদের সন্ধানে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। তবে রাত পর্যন্ত তাঁদের কোনও সন্ধান পায়নি। মৎস্য দপ্তরের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সহ মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জয়ন্ত কুমার প্রধান দুর্ঘটনার খবর পাওয়ামাত্রই উদ্ধারকাজের জন্য উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানান। তবে খারাপ আবহাওয়া জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকায় রাতে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়। রবিবার ভোর থেকে উপকূলরক্ষী বাহিনী দুর্ঘটনাস্থলে নিখোঁজ তিন মৎস্যজীবীদের খোঁজে ফের তল্লাশি চালাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.