সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর মহকুমার তিন শতায়ু ভোটারকে সম্মান জানাল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার এই তিন ভোটারের বাড়ি গিয়ে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় পুষ্পস্তবক। সঙ্গে আধিকারিকরা নিয়ে যান ভিভিপ্যাট ও ইভিএম মেশিন। তাঁদের নয়া এই ভোট দান পদ্ধতিও বুঝিয়ে দিয়ে আসেন কমিশনের আধিকারিকরা।
সম্মান পেয়ে খুশি এই তিন শতায়ু ভোটার। দুর্গাপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি কলোনির বাসিন্দা শেফালি সমাদ্দার। বয়স এই সবে ১০৪ পার করেছেন। প্রতিবারের মতন এবারও বুথে গিয়ে ভোট দেবেন। কাঁকসার গোপালপুরের নফর রায়। তারও বয়স ১০৩। সুস্থ সবল নফর রায় এবারও ভোট দিতে প্রস্তুত। আরেক শতায়ু কাঁকসার মলানদিঘির হারাধন সাহা তো নির্বাচনের আধিকারিকদেরই লজ্জায় ফেলেন। বলেন, “কী দরকার ছিল এতদূর আসার? আমাকেই ডাকতে পারতেন। দুর্গাপুর চলে যেতাম।”
[ আরও পড়ুন: অভিনব ভোটপ্রচার, হোয়াটসঅ্যাপ স্টিকারে হাজির তৃণমূল প্রার্থীরা ]
১০৮ বছরের সবথেকে প্রাচীন ভোটার হারাধন সাহাকে সম্মান জানাতে গিয়ে তার কথায় লজ্জাই পেয়ে গেলেন কাঁকসার বিডিও সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তার সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুরের উপ-শ্রম আধিকারিক অরুণিমা বিশ্বাস। দুর্গাপুরের শতায়ু ভোটার শেফালি সমাদ্দারকে সম্মান জানাতে উপস্থিত হয়েছিলেন মহকুমা শাসক অনির্বাণ কোলে। তিনি জানান, “নির্বাচন কমিশন ভোট দানে উৎসাহ দিতে নানান পরিকল্পনা নিয়েছে। শতায়ু পার করা ভোটাররা অন্যদের কাছে প্রেরণা হতে পারেন। তাই তাদের কাছে আসা। তাদের সম্মানিত করতে পেরে আমরাও গর্বিত।”
১৯১১ সালে মলানদিঘিতে জন্মেছিলেন হারাধন সাহা। স্মৃতি হাতড়ে সেই সময়ের কাহিনি, জীবনের চড়াই-উতরাইয়ের অভিজ্ঞতা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েই আনন্দ পান হারাধন বাবু। ১০৮-এও বাকশক্তি অটুট৷ তিনি জানিয়েছেন, ব্রিটিশ শাসনকালে ঠিকাদারি করতেন তিনি। ভোট প্রসঙ্গে হারাধনবাবুর বক্তব্য, ‘কুড়ি বছর বয়সে দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের কালীপুরে প্রথম ভোট দিই। সেই থেকে এখনও চলছে। প্রতিবারই ভোট দিয়েছি। একবারও বাদ যায়নি। যখন প্রথম ভোট দিই, তখন এত গুরুত্বও ছিল না। আর এতে দলও ছিল না।’
ছবি- উদয়ন গুহরায়
[ আরও পড়ুন: ফুয়াদ হালিমের মিছিলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা, আহত বেশ কয়েকজন ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.