দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: নরেন্দ্রপুরে পুলিশ সেজে ব্যবসায়ীর বাড়িতে ডাকাতির নেপথ্যে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। ঘটনার মূল চক্রী-সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের কাছে ধারালো অস্ত্র, পুলিশের উর্দি ও লুট হওয়া সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীর দাবি, ধৃতেরা সকলেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত মোট এগারোজন। বাকি সাতজনের সন্ধানে তল্লাশি চলছে।
রবিবার গভীর রাতে নরেন্দ্রপুরের নেতাজি নগরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় ছয়জনের এক ডাকাত দল। পরিবারের লোকের দাবি, তিনজনের পরনে ছিল পুলিশের উর্দি, আর বাকি তিনজন ছিল সাধারণ পোশাকে। গৃহকর্তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে নগদ ৭০ হাজার টাকা, সোনা ও রুপোর গয়না লুট করে দুষ্কৃতীরা। এদিকে ঘটনাটি টের পেয়ে আশেপাশের মানুষ যখন চিৎকার করতে শুরু করেন, তখন শূন্যে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। পিছু ধাওয়া করে অবশ্য একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাকে গ্রেপ্তার করে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
সোমবার রাতে দক্ষিণ শহরতলির বাঘাযতীন এলাকা থেকে মূলচক্রী-সহ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা হল রেজাউল শেখ, মামুন শেখ ও সবুজ শেখ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই তিনজনেরই বাড়ি বাংলাদেশে। বেশ কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ থেকে এসে নরেন্দ্রপুরকে থাকতে শুরু করে রেজাউল। সে-ই এই ডাকাতির ঘটনার মূলচক্রী। এর আগেও ডাকাতির অভিযোগে রেজাউলকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। কলকাতায় সাত বছর জেলও খেটেছে ওই বাংলাদেশি দুষ্কৃতী। ছাড়া পাওয়ার পর বেশ কিছু গা-ঢাকা দিয়েছিল সে। ফের রেজাউল অপরাধমূলক কাজকর্ম শুরু করেছে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা।
কাজের সুবাদেই হোক কিংবা ঘোরার জন্য, কলকাতায় বাংলাদেশি নাগরিকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। কিন্তু সকলেই যে নিয়ম মেনে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন, তা কিন্তু নয়। পড়শি দেশ থেকে যাঁরা বেআইনিভাবে এদেশে আসেন, তাঁদের একটি অংশ কলকাতায় নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছেন বলে জানা গিয়েছে।
ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.