নন্দন দত্ত, বীরভূম: করোনার (Coronavirus) দাপট এখনও অব্যাহত। তারই মাঝে আবার গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো গ্রামে অজানা রোগের হানা। আর দু’য়ের সাঁড়াশি আক্রমণে নাজেহাল দশা বীরভূমের রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের মাড়গ্রাম এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের এঁটেলপাড়ার বাসিন্দাদের। এখনও পর্যন্ত এই এলাকায় অজানা রোগের বলি তিন জন। আরও পাঁচজন অসুস্থ। তবে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে এমন অজানা রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। প্রথমে এক নাবালক অসুস্থ হয়ে পড়ে। শনিবার রাতে আরেকটি বছর চারেকের শিশুও অসুস্থ হয়ে পড়ে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার মৃত্যু হয়। তৃতীয় ঘটনাটি ঘটে রবিবার সকালে। এদিনও আরেকটি শিশু আচমকাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। নিহত ওই নাবালক এবং শিশুদের পরিবারের দাবি, প্রথমে প্রচণ্ড পেটের যন্ত্রণা হচ্ছে বলেই জানায় তারা। তারপরই বমি শুরু হয়ে যায়। এরপর মুহূর্তের মধ্যে মৃত্যু হয় তাদের। প্রত্যেকেরই উপসর্গ ছিল একইরকম। কেন এমন উপসর্গ তাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে, তা বুঝতেই পারছেন না নিহতের পরিজনেরা। ঠিক একইরকম উপসর্গ থাকা আরও পাঁচজনের চিকিৎসা চলছে। তবে তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
এভাবে একের পর এক নাবালক এবং শিশু মৃত্যুর খবর পেয়ে রবিবার সকালে গ্রামে যান বিডিও, বিএমওএইচ, পঞ্চায়েত প্রধান-সহ স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। গ্রামে স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্লিচিং ছড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক অভিজিৎ রায়চৌধুরি বলেন, “করোনার নতুন কোনও উপসর্গ নাকি খাবার অথবা জলের বিষক্রিয়ায় তিনজনের প্রাণ গেল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গ্রামে ১৩১ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়াও পানীয় জল এবং খাবারেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে জানতে পারবো কেন এমন কাণ্ড ঘটল।” বিডিও রাজীব পোদ্দার বলেন, “আপাতত ওই পাড়ার বাসিন্দাদের নিজের এলাকা ছেড়ে অন্যত্র যেতে বারণ করা হয়েছে। পুকুরের জল ব্যবহার করতেও বারণ করা হয়েছে।” এই ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে কাঁপছে গোটা গ্রামের বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.