চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: করোনা ভাইরাস, সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং, লকডাউন – এই শব্দগুলো নিয়ে এত চর্চা হলেও কোথাও কোথাও যে এর প্রভাব এতটুকুও পড়েনি, তা বোঝা গেল মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। শুক্রবার জুম্মার নমাজ পড়তে গোপীপুরের এক মসজিদে ভিড় জমালেন হাজারেরও বেশি মানুষ! সেই জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হল পুলিশকে। কান্দির এসডিপিও কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনীর তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত এলাকা ফাঁকা করে ফিরেন যান তাঁরা।
মহামারি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। তা মেনে চলার জন্য প্রশাসনিক প্রধানরা বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাছেও আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে কোনও অনুষ্ঠান বা উৎসব উপলক্ষ্যে জমায়েত না করা হয়, ঠিকমতো মেনে চলা হয় সামাজিক দূরত্ব। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও একই আবেদন জানিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বহু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানই ভক্তদের জন্য দরজা বন্ধ রেখেছে আপাতত। অনেক জায়গায় নোটিস দিয়ে সকলকে জানানো হয়েছে, এ ক’দিন বাড়িতে সেই প্রার্থনা করুন। কিন্তু লকডাউন ভেঙে কোনও জরুরি কাজ ছাড়া একসঙ্গে অনেকের জমায়েত হওয়ার ছবিও এই ক’দিনে ধরা পড়েছে দেশের নানা প্রান্তে। এবার মুর্শিদাবাদেও তেমনটাই হল।
লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার বড়ঞা থানা এলাকার গোপীপুর মসজিদে হাজার লোকের জমায়েত। সামাজির দূরত্ব মানা তো দূরের কথা, কারও মুখে মাস্ক পর্যন্ত নেই। ঘটনার খবর পেয়েই কান্দির এসডিপিও কুমার সানি রাজের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছয়। জমায়েতকারীদের ছত্রভঙ্গ করা হয়। পাশাপাশি, মসজিদের ইমামকে ডেকে আগামী দিনে এই ধরনের জমায়েত করলে কঠোর শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। চাপে পড়ে গ্রামবাসীদের সামনে ইমাম ঘোষণা করেন, করোনা পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকতে লকডাউন চলাকালীন বাড়িতে বসে নমাজ পড়ার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.