Advertisement
Advertisement

Breaking News

NEET

সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে NEET’তে দারুণ ফল, দরিদ্র পরিবারের রুনা খাতুনের জন্য গর্বিত গ্রাম

তাঁর এই সাফল্যের পথ ছিল বেশ দুর্গম।

This student of Murshidabad got good ranking in NEET this year | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:October 21, 2020 6:11 pm
  • Updated:October 21, 2020 6:11 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। বাস্তবের শক্ত মাটিতে দাঁড়িয়ে অনেক সময়ই এই ইচ্ছেপূরণের পথটা কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে। কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ায় আর্থিক সংকট তো কখনও পারিপার্শ্বিক পরিবেশ। কিন্তু সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে যখন সাফল্য আসে, তখন তৃপ্তির স্বাদটাই অন্যরকম হয়ে যায়। আর সেই স্বাদই পাচ্ছেন রুনা খাতুন।

মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদীঘীর প্রত্যন্ত গ্রাম বিনোদবাটি। যেখানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার আশা অলীক কল্পনার মতোই। সেই গ্রাম থেকেই এবার সর্বভারতীয় মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় (NEET 2020) ভাল ব়্যাঙ্ক করে তাক লাগালেন রুনা। গ্রামের প্রথম ছাত্রী হিসেবে ডাক্তার হতে চলেছেন মুসলিম পরিবারের এই কৃতী কন্যা। NEET-তে তাঁর ব়্যাঙ্কিং ৬,৯০৫। স্বাভাবিকভাবেই রুনার জন্য গর্বিত গোটা গ্রাম।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিদ্যুৎমন্ত্রীর আশ্বাসই সার, পুজোর মরশুমে দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎহীন দুর্গাপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা]

তবে তাঁর এই সাফল্যের পথ ছিল বেশ দুর্গম। গোটা গ্রামে একটি প্রাথমিক ও একটিমাত্র উচ্চমাধ্যমিক স্কুল। ভাল কোচিং পেতে গ্রাম থেকে বহুদূর যেতে হয়। স্কুলেরই গ্রামে লেখাপড়া করেছেন দরিদ্র পরিবারের রুনা। বাবা সবুর আলি শেখ বাড়ি বাড়ি ঘুরে কাপড় বিক্রি করতেন। এখন সংসার চালাতে ভিনরাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। মা জ্যোৎস্না বিবি সেলাইয়ের কাজের পাশাপাশি কাপড় ও জুতোর দোকান চালিয়ে দুই মেয়েকে বড় করছেন। তাঁর ইচ্ছা ছিল, পরিবারের কেউই সেভাবে লেখাপড়ার সুযোগ পাননি। তাই মেয়েদের পড়াশোনা করাবেন। উচ্চশিক্ষিত করতে তুলবেন। যাতে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন দুই সন্তান। আর তার জন্যই দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। ফলও পেলেন। ৬,৯০৫ ব়্যাঙ্কিং করেছেন রুনা। গর্বিত জ্যোৎস্না বিবি বলছিলেন, “মেয়ে গ্রামের স্কুল থেকেই লেখাপড়া করেছে। তবে মেডিক্যাল পরীক্ষা দেবে বলে বর্ধমান জেলায় কোচিং ক্লাসে নিয়ে গিয়েছিলাম। এত ভাল রেজাল্ট করায় আমি ও আমার স্বামী অত্যন্ত গর্বিত। শুধু আমরাই কেন। গোটা গ্রামই খুশি হয়েছে। ওর জন্যই আজ আমাদের গ্রামকে সকলে চিনবে।”

আর রুনার স্বপ্ন? মেধাবী ছাত্রী বলছিলেন, “নিজের গ্রাম তো বটেই, নিউরোলজিস্ট হয়ে অন্য গ্রামেও কাজ করার ইচ্ছা আছে। আমায় দেখে যাতে অন্যরাও উদ্বুদ্ধ হয়, সেই চেষ্টাই করব। এভাবেই যদি সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় অংশ নিতে পারি, নিজেকে ধন্য মনে করব।” কে বলেছে, ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় না!

[আরও পড়ুন: করোনা কাঁটায় বন্ধ প্রতিমা দর্শন? ভ্রাম্যমাণ দুর্গাপুজোর আয়োজন করে তাক লাগালেন উদ্যোক্তারা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement