রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নয়, ভগবান হিসেবে পুজো করেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভূপতিনগর থানা এলাকার মাধাখালির সুদর্শনবাবু। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছাত্র রাজনীতির সময় থেকেই তার ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ মাধাখালি গ্রামের সুদর্শন রায়। এরপর ধীরে ধীরে তিনি যখন মন্ত্রী এবং তারপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তখন যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একজন সাধারণ নারীর আসন থেকে সরিয়ে ভগবানের আসনে বসান এই সুদর্শনবাবু।
মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একাধিক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি যেন সুদর্শনবাবুর মনে এক অন্য জগতের দুয়ার খুলে দেয়। ক্রমে ক্রমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী থেকে সুদর্শন বাবুর কাছে হয়ে ওঠে দশভূজা। যিনি আদতে দুই হাতে মানুষের সেবা করলেও তিনি দিব্যচক্ষু দিয়ে দেখতে পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দশ হাতে মানুষের সেবায় নিমগ্ন। আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে ভগবানের আসনে বসিয়ে দেন সুদর্শন রায়। নিজের বাড়িতেই কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্বেত পাথরের মূর্তি তৈরি করেন সুদর্শনবাবু। আর সেই মূর্তিকে নিয়মিত প্রত্যেকদিন পুজোও করেন। বাড়িতে গৃহদেবতার আসনে বসিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রত্যেক দিন সকাল হলে তিনি নিজের বাগানে ফোটা ফুল দিয়ে দেবীজ্ঞানে পুজো করেন সুদর্শনবাবু। সকাল, দুপুর, সন্ধ্যা অন্যান্য গৃহদেবতার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও পুজো পান সুদর্শনবাবুর হাতে। কাঁসর-ঘন্টা, শঙ্খধ্বনির মাধ্যমে গোটা বাড়ি যেন হয়ে ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরাধনা ক্ষেত্র। সুদর্শনবাবুর এই আরাধনা দেখতে প্রত্যেকদিন স্থানীয় বহু মানুষই এখানে ভিড় জমান। আর সবাইকে সুদর্শনবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অনুপ্রেরণা জোগানো। গত কয়েক বছর আগে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে সুদর্শনবাবু নিজের বাড়িতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন। আর সেই মুর্তিকে নিয়মিত দেবীজ্ঞানে পুজো করেন তিনি।
সুদর্শনবাবুর ইচ্ছে রয়েছে, ছবিতে দেখা এই দেবীকে কোনও একদিন সামনাসামনি চোখের দেখা দেখতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুদর্শন বাবুর এখন এই একটাই আবেদন। সুদর্শনবাবু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে দেবীরূপী। তাই আমি তাঁকে ভগবানরূপে পুজো করি। আমার শেষ ইচ্ছে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একবার সামনাসামনি সাক্ষাৎ করার।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.