পলাশ পাত্র, কৃষ্ণনগর: রাজার হাত ধরে পুজোর সূচনা। এমন এক জনপদে জগদ্ধাত্রী বন্দনা শুরু হল কিনা সিনেমার সৌজন্যে! কৃষ্ণনগরের জজকোর্ট পাড়ার পুজোর সূচনার ক্ষেত্রে জড়িয়ে সেলুলয়েডের গল্প।
[সাবেকি প্রতিমার সঙ্গে থিমে সুন্দর ষষ্ঠীতলা বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী]
‘আরাধনা’ ছবির সঙ্গে এখানে আক্ষরিক অর্থেই জড়িয়ে মাতৃ আরাধনার সূচনার কথা। ১৯৬৯ সালের কালজয়ী এই ছবিতে রাজেশ খান্নার লিপে কিশোর কুমারের গান ঝড় তুলেছিল দেশের যুব প্রজন্মের মধ্যে। শর্মিলা ঠাকুর-রাজেশ খান্নার এই রোমান্টিক ছবিতে বুঁদ হয়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তরুণরা। শক্তি সামন্তের ব্লকবাস্টার সিনেমা তাদের এতটাই ভাল লেগেছিল যে কয়েকজন মিলে একটি ক্লাব তৈরি করেন। নাম দেন আরাধনা। গাছতলায় বসে দিলীপ, খোকনদের মতো কয়েকজন যুবক যে আরাধনা ক্লাব তৈরি করেছিলেন সেখানেই শুরু হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। তবে কিছু দিন পর সিনেমার মতো আরাধনা ক্লাব বিস্মৃত হয়ে যায়। ওই পুজো জজকোর্ট পাড়া বারোয়ারি নাম নতুন করে শুরু হয়। দেখতে দেখতে জজকোর্টের পুজো ৩৭ বছরে পড়ল।
[যমুনা যমকে আদৌ ভাইফোঁটা দিয়েছিলেন তো?]
প্রতিমার পাশাপাশি এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য সুউচ্চ এবং বিশালকার গেট। প্রায় ৪০ ফুট উঁচু গেট প্রতি বছর কোনও না কোনও মন্দিরের আদলে হয়। এমন তোরণের জন্য জজকোর্ট পাড়া বারোয়ারির পুরস্কার থাকা বাঁধা। মহাপুজো উপলক্ষ্যে নবমীর দান ওই এলাকায় রান্না বন্ধ থাকে। পুজোতেই সব খাওয়া-দাওয়া। পুজো কমিটির কর্তা মিঠুন মণ্ডল জানান, এই পাড়ার পুজো সুনাম রয়েছে। এবছরও তা বজায় থাকবে বলে আশা করি। সেলুলয়েড থেকে বাস্তবের নামে এলেও এই পুজোর খ্যাতি এখনও একইরকম রয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.