Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিমি-নুসরত

এলাকার উন্নয়ন নিয়ে লোকসভায় সরব তারকা সাংসদ মিমি-নুসরত

সংসদে বাংলার তারকাদের 'মৌনী মহাদেব' ছবি মুছে দিলেন দুই তরুণ তুর্কি।

This is what Mimi and Nusrat Jahan spoke about in Lok Sabha
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 26, 2019 3:35 pm
  • Updated:June 26, 2019 3:57 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:  অধিবেশন শুরুর প্রায় এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার সংসদে গিয়ে  শপথ নেন বসিরহাটের নবনির্বাচিত সাংসদ নুসরত জাহান এবং যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। শপথগ্রহণের পর দিনই সংসদে প্রথম বক্তব্য পেশ করেন বসিরহাট ও যাদবপুরের জনপ্রিতিনিধি নুসরত জাহান এবং মিমি চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গের কোনও তারকা সাংসদ অধিবেশনের প্রথম দিনই নিজেদের সংসদীয় এলাকার সমস্যা নিয়ে সরব হন সংসদে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে এরাজ্যের তারকা সাংসদদের ‘মৌনী মহাদেব’ তকমাটা বোধহয় এবার ঘুচল এই দুই মহিলা তৃণমূল সাংসদের সৌজন্যে। 

মঙ্গলবার স্পষ্ট উচ্চারণে বাংলায় শপথবাক্য পাঠ করেন। মঙ্গলবার সংসদে প্রবেশ করার সময় গণতন্ত্রের বেদিতে প্রণাম জানান নবপরিণীতা বেশে নুসরত ও মিমি। এমনকী, শপথবাক্য পাঠের পর লোকসভার স্পিকারের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেও এক নজির গড়েন। আর তাই বোধহয় এই প্রথম কোনও তারকা সাংসদের শপথবাক্য পাঠ নজরকাড়া শিরোনামের বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: নবপরিণীতার বেশে সংসদে নুসরত, বাংলায় শপথ নিলেন মিমিও  ]

বুধবার অধিবেশনে বসিরহাটবাসীর সমস্যার কথা তুলে ধরেন নুসরত জাহান। তাঁর কেন্দ্রের পড়ুয়াদের শিক্ষাব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে প্রথমেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় গড়ে তোলার দাবি পেশ করেন সাংসদ নুসরত। তিনি বলেন, “দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়গুলি যে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। এছাড়াও, এই অঞ্চলে প্রায় হাজারের উপর প্রাক্তন সেনাকর্মীদের বসবাস। ৬০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনও কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নেই। আমার সাংসদীয় এলাকার প্রায় ৮৬.৮১ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করেন এবং ১৩.১৯ শতাংশ শহুরে লোকের বাস। তাঁদের মধ্যে ২৫.৩৪ শতাংশ এবং ৬.৫৬ শতাংশ তফসিলি এবং উপজাতির মানুষ রয়েছেন। আর্থিক সমস্যার জন্য তাঁরা ছেলেমেয়েদের বেসরকারি বিদ্যালয়ে পাঠাতে পারেন না। পরের শিক্ষাবর্ষ থেকেই যাতে এই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন চালু হতে পারে, সেই আবেদন রাখব।”  

এর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় বসিরহাটের বেশ কিছু সমস্যার কথাও এদিন সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরেন তিনি। শপথবাক্য পাঠ করার পরই রাজনৈতিক মহলের একাংশ ভ্রু উঁচিয়ে ছিল। এরপর আবার কবে সাংসদ নুসরত হাজিরা দেবেন সংসদে? এমন প্রশ্নও উঠেছিল। তবে শপথবাক্য পাঠের পরই এক জাতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “আমার কাজ দিয়ে আমাকে বিচার করবেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে বসিরহাটবাসীর সমস্যা সমাধানের সুযোগ পেয়েছি। তাই বিন্দুমাত্র দেরি না করে কাজ শুরু করতে চাই। আমার কেন্দ্রের মানুষদের সাহায্যের দরকার। আর আমি ওদের প্রতিনিধি হিসেবেই ওদের যাবতীয় সমস্যার কথা তুলে ধরব অধিবেশনে। ভারত সরকারের কাছে সাহায্য চাইব ওদের হয়ে। কোনও রকম খামতি রাখতে চাই না।” হাতে কাঁচা মেহেন্দির রং। হাত ভরতি চূড়া। সিঁথিতে সিঁদুর। বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়ি… নবপরিণীতা বেশে তৃণমূলের নবনির্বাচিত সাংসদ নুসরত জাহানের শপথবাক্যের পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন।

নুসরতের পাশাপাশি শপথগ্রহণের পরের দিন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তীও বুধবার অধিবেশনে প্রথম বক্তব্য পেশ করেন। এদিন তিনি নিজের সংসদীয় এলাকার অন্তর্গত পূর্ব বারুইপুরের চম্পাহাটি রেলওয়ে স্টেশনে একটি ফ্লাইওভার গড়ার দাবি তোলেন। উল্লেখ্য, চম্পাহাটি রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ের জন্য এলাকায় প্রবল যানজট তৈরি হয়। অনেকক্ষেত্রেই রোগীদের যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছতে দেরি হয়। এবং ছাত্রছাত্রীদেরও স্কুলে পৌঁছতে ভোগান্তি পোহাতে হয়। সোনারপুর এবং বিদ্যাধরপুর, যা শিয়ালদহ পূর্ব রেলওয়ে শাখার অন্তর্ভূক্ত, সেখানেও এই একই ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিদ্যাধরপুরে কোনও লেভেল ক্রসিং নেই। যার জন্য মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটে। আর সেই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্যই বিদ্যাধরপুরে লেভেল ক্রসিংয়ের দাবি পেশ করেন মিমি।           

[আরও পড়ুন: ফের শিবপ্রসাদ-নন্দিতার হাত ধরে বড়পর্দায় নাইজেল, প্রকাশ্যে অভিনেতার ‘গোত্র’ লুক  ]

সদ্য তুরস্কের বোদরুম শহর থেকে নিখিল জৈনের সঙ্গে রাজকীয় বিয়ে সেরে ফিরেছেন দেশে। রবিবার ভোররাতে শহরে পা রেখেই ফের সোমবার স্বামী নিখিলের সঙ্গে দিল্লির উদ্দেশে উড়ে যান। প্রসঙ্গত, ১৭ জুন ছিল সাংসদদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু রাজ্যের বাকি সাংসদরা শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেও সংসদের প্রথম দিনেই অনুপস্থিত ছিলেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী এবং বসিরহাটের সাংসদ নুসরত জাহান। কারণ নুসরতের বিয়ে উপলক্ষে দু’জনেই তখন ছিলেন তুরস্কে। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়, আগামী ২৫ জুন শপথ নেবেন দুই তারকা সাংসদ। সেই মতো আজ যাদবপুর ও বসিরহাটের সাংসদ অধিবেশনের আগে শপথ নেন। উল্লেখ্য, নিখিল-নুসরতের বিয়ের অনুষ্ঠান কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। ৪ জুলাই কলকাতার এক বিলাসবহুল পাঁচতারা হোটেলে রয়েছে তাঁদের রিসেপশনের অনুষ্ঠান। তবে, তার মাঝেই ফের রাজনীতির ময়দানে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন নুসরত। যে রাঁধে, সে যে চুলও বাঁধে বইকি, তার প্রমাণ নুসরত। নিউ আলিপুরের নতুন আস্তানা সাজানো থেকে বসিরহাটবাসীর হয়ে সংসদের প্রথম দিনে দাবি পেশ করা, তৃণমূলের তরুণ তুর্কি একা হাতে সামলাচ্ছেন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement