সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: এবার সত্যি ফাগুনের গায়ে লাগবে রাঙা পলাশের রং’। অপরাজিতার নীলিমায় নীল হয়ে উঠবে আকাশ। আর এর নেপথ্যে থাকবে ওঁদের হাত। ওঁরা, যাঁরা মাটির সবচেয়ে কাছে। প্রকৃতির আপনজন। এই পৃথিবীর আদিম বাসিন্দা। প্রকৃতির নির্যাসে এবার বাংলার দোলযাত্রাকে রাঙিয়ে দেবে পুরুলিয়ার আদিবাসীদের তৈরি ভেষজ আবির ‘বনপলাশী’।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগ্যে সাহায্য করছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ। তাঁদের প্রশিক্ষণেই আবির তৈরির পদ্ধতি শিখছেন আদিবাসী মহিলারা। পলাশ, অপরাজিতা, গাঁদা ফুল থেকে তৈরি এই আবির দোলের আগেই চলে আসবে প্রত্যেক সরকারি স্টলে। সব ঠিক থাকলে বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ডের নামেই বাঁশের তৈরি পাত্র করে বিক্রি করা হবে এই ভেষজ আবির। আড়াইশো গ্রামের ছোট পাত্রের দাম হবে মাত্র নব্বই টাকা। আর বড় পাত্রে থাকবে ৫০০ গ্রাম আবির।
ফেব্রুয়ারি শেষেই বিদায় নিচ্ছে ‘ভুতু’, আসছে ‘বিকেলে ভোরের ফুল’
আপাতত সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ষাট জন আদিবাসী মহিলাকে প্রশিক্ষণের জন্য বাছা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ তফশিলি জাতি, তফশিলি উপজাতি উন্নয়ন ও অর্থ নিগমের প্রায় সাড়ে পনেরো লক্ষ টাকা অর্থে সূচনা হয়েছে এই প্রকল্পের। প্রকল্প হাতে নিয়েছে পুরুলিয়ার বলরামপুর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি। বিডিও পৌলমি চক্রবর্তীর কথায়, “এই আবির একেবারে পরিবেশবান্ধব। ভেষজ এই আবিরের নাম রেখেছি বনপলাশী। আপাতত সরকারের বিভিন্ন স্টলে দোলের আগেই এই আবির মিলবে। বিশ্ববাংলা ব্র্যান্ড দিয়ে যাতে এই আবির বিক্রি করা যায় সেই ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়েছে।” দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশি সারা বাংলা ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী সমিতি। সমিতির রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র নায়েক বলেন, “সরকারের এই উদ্যোগে ফুলচাষিরা একটু হলেও লাভবান হবেন। মাঝে মধ্যেই অতিরিক্ত ফুল ফেলে দিতে হয়। এবার হয়তো তা আর হবে না। ”
সতর্ক থাকুন! না হলে হতে পারে ডিম্বাশয়ে টিউমার, সিস্ট
জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রায় ২১ লক্ষ পলাশ গাছ রয়েছে। রয়েছে অন্যান্য ফুলের গাছও। ফুলের নির্যাস থেকেই আবিরে সুগন্ধী মেশানো হবে। আর বাঁশের পাত্র তৈরি করবে জঙ্গলমহলের বাঁশের কাজ করার জন্য বিখ্যাত কালিন্দী পরিবার।
দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ, নতুন জেলা হল কালিম্পং
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.