Advertisement
Advertisement

গ্রামে নেই শৌচাগার, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে যেতে হয় দেড় কিলোমিটার

নির্মল বাংলার স্বপ্নপূরণের অঙ্গীকার স্বপ্নার।

This Family of Balurghat travel 1.5 km just to use toilet
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:September 30, 2018 6:49 pm
  • Updated:September 30, 2018 7:51 pm

রাজা দাস, বালুরঘাট: সরকারি প্রকল্পে টাকা পাননি। বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করার মতো সামর্থ্যও নেই। কিন্তু, তা বলে খোলা স্থানে শৌচকর্ম! নৈব নৈব চ! বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে সুলভ শৌচাগার ব্যবহার করেন বালুরঘাটের একটি পরিবার। শুধু তাই নয়, নিজেদের এলাকায় ‘নির্মল বাংলা’ প্রকল্প বাস্তব রূপ দিতেও বদ্ধপরিকর ওই পরিবারের সদস্যরা।

[সম্পত্তি হাতাতে ভাইকে গৃহবন্দি করে থানায় মিসিং ডায়রি দাদার!]

Advertisement

ধানক্ষেত কিংবা খোলা মাঠের অভাব নেই। ভোর থাকতে থাকতে এক বালতি জলে নিয়ে মাঠে গেলেই ল্যাটা চুকে যায়! গ্রামে শৌচাগার ব্যবহারের রেওয়াজ নেই বললেই চলে। সত্যি কথা বলতে, বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করার মতো আর্থিক সামর্থ্যই কতজনের থাকে! তবে গ্রামবাংলার ছবিটা বদলাতে উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। চালু হয়েছে নির্মল বাংলা প্রকল্প। এই প্রকল্পে বাড়িতে শৌচাগার তৈরির জন্য টাকা দেয় সরকার। কিন্তু, ঘটনা হল, সরকারি টাকায় শৌচাগার বানিয়েও অনেকেই খোলা মাঠে গিয়ে শৌচকর্ম সারেন। কিন্তু, বালুরঘাটের স্বপ্না মহন্ত ও তাঁর পরিবারের লোকের তেমন নন। বরং উলটোটাই। বাড়িতে শৌচাগার নেই। প্রতিদিন বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে সুলভ শৌচাগার ব্যবহার করেন তাঁরা!

বালুরঘাট শহর লাগোয়া মঙ্গলপুরের আদিবাসী পাড়ায় থাকেন স্বপ্না মহন্ত। প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর ফের বিয়ে করেছেন তিনি। তিন মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ভরা সংসার। স্বামী অন্যের দোকানের কর্মচারী। স্বপ্না নিজে বা়ড়ি বাড়ি ঘুরে শাড়ি বিক্রি করেন। চরম আর্থিক অনটনে সংসার চলে। স্বপ্না মহন্তের দাবি, সরকারি প্রকল্পের বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু, লাভ হয়নি। বাড়িতে শৌচাগার তৈরি করবেন, সে সামর্থ্যও নেই। অগত্যা বালুরঘাট শহরের প্রা্ইভেট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুরসভার সুলভ শৌচাগারই ভরসা। বহু প্রতিকূলতা সত্ত্বেও স্রেফ শৌচকর্ম সারতে বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন স্বপ্না মহন্ত ও তাঁর পরিবারের লোকেরা।  স্বপ্না মহন্ত জানিয়েছেন, বাড়িতে একসময়ে কাঁচা শৌচাগার ছিল। কিন্তু সেটা ভেঙে গিয়েছে। সরকারি প্রকল্পে শৌচাগার তৈরির জন্য ৯০০ টাকা জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা ফেরত দিয়ে পঞ্চায়েত জানিয়ে দিয়েছে, এখন শৌচাগার তৈরি করে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, এ রাজ্যে নির্মল বাংলার প্রকল্প সার্থক করতে বদ্ধপরিকর স্বপ্না ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের আবেদন, বাড়িতে অন্তত একটি শৌচাগার তৈরি দিক সরকার।

[ ‘ধর্ষণের পর খুন করেছি’, বাবাকে ফোন কিশোরীর বন্ধুর

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement