Advertisement
Advertisement

Breaking News

চুরি

স্কুলের তালা ভেঙে স্রেফ মশলা চুরি! ধারাবাহিক লুটপাঠের তদন্তে নেমে অবাক পুলিশ

একইরাতে আসানসোলের তিন জায়গায় লুটপাঠ করে দুষ্কৃতীদল৷

Thieves steal only spices from a school in Asansol
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:July 26, 2019 9:30 pm
  • Updated:July 26, 2019 9:31 pm  

চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়,আসানসোল: রাতের অন্ধকারে স্কুলে চুরির বড়সড় পরিকল্পনা৷ কিন্তু তালা ভেঙে, আলমারি ভেঙে চোরের দল শুধুই নিয়ে গেল মিড ডে মিলের মশলা৷ আর কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছাড়া কিছুতেই হাত দিল না চোরের দল৷ এমনই আজব ঘটনা পশ্চিম বর্ধমানে হীরাপুর থানা এলাকার ঢাকেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ে। 

[আরও পড়ুন: ভাঙতে বসা প্রেম জুড়ে দিল প্রযুক্তি, ‘টেলিগ্রাম’ অ্যাপের হাত ধরে প্রেয়সীকে ফিরে পেলেন প্রেমিক]

তবে ওই একই রাতে স্কুলের অদূরে সূর্যনগর পোস্ট অফিসে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। সেখানে নাইট গার্ড-সহ স্থানীয় দু’জনকে বেঁধে পোস্ট অফিসের তালা ভেঙে ঢুকেও খালি হাতে ফিরে যায়। এই দলটি শুধুমাত্র লুটপাট করতে সমর্থ হয়েছে ইসমাইলের এক ফাঁকা গৃহস্থ বাড়িতে। সেখানে খোয়া গেছে প্রায় এক লাখ টাকার সম্পত্তি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঢাকেশ্বরী উচ্চবিদ্যালয়ে হানা দেয় একদল দুষ্কৃতী৷ ভাঙা আলমারি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র-সহ খোয়া যায় নগদ ৫ হাজার টাকা। প্রধান শিক্ষকের অফিস ও ক্লারিক্যাল অফিসের মোট ৮টি আলমারির তালা ভেঙে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বেশ কিছু ড্রয়ারের তালা ভেঙে খুলে ফেলা হয়। প্রধান শিক্ষক রবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘অফিসজুড়ে জিনিসপত্র তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। আমি যখন খবর পেয়ে স্কুলে ঢুকি, তখন দেখি আলমারিগুলির সামনে একটি করে চেয়ার পাতা আছে। বোঝাই যাচ্ছে প্রতিটি ফাইল চেয়ারে বসে বসে খুঁটিয়ে দেখেছে দুষ্কৃতীরা। গুরুত্বপূর্ণ কী কী নথি খোয়া গেছে, এখনই বোঝা যাচ্ছে না।’ তবে জানা গিয়েছে, স্কুলেপ কম্পিউটার,মিড ডে মিলের বাসন – এসব কিছুই চুরি হয়নি৷ শুধুমাত্র একটি আলমারিতে রাখা মুগ-মুসুরির ডাল, ধনে, জিরে, গরম মশলা ও লঙ্কাগুঁড়োর প্যাকেট ছিল। মিড ডে মিলের সেই মশলা নিয়ে গেছে পালিয়েছে তস্করের দল। জানা গেছে, ওই স্কুলের নৈশপ্রহরী লক্ষ্মীকান্ত বাউরি রাতে ছিলেন না৷

স্কুল থেকে সামান্য দূরে সূর্যনগর বাসস্ট্যান্ড ও বাজারের সামনে রয়েছে পোস্ট অফিস। জানা গেছে, সেখানেও সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা হানা দেয়। নৈশপ্রহরী তমাল চক্রবর্তীকে বেঁধে ফেলে পোস্ট অফিসের তালা ভাঙে তারা। পোস্ট অফিসে ঢুকে কাগজপত্র তছনছ করে দেয়। তবে ভল্ট খুলতে পারেনি। পোস্টমাস্টার রামপ্রসাদ সাউ বলেন, ‘কী খোয়া গেছে এখনই বোঝা যাচ্ছে না। হেড পোস্টাফিস থেকে আধিকারিকরা এসেছেন তাঁরা বিষয়টি দেখছেন।’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হীরাপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান মেয়র পারিষদ লক্ষণ ঠাকুর। তাঁর কথায়, ‘আমার ধারণা, এলাকায় অশান্তি করার জন্য এই হামলা হয়েছে। কারণ সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা এল, এতগুলো তালা ভাঙল, অথচ কার্যত ব্যর্থ হয় ফিরে গেল। নিছক চুরিই উদ্দেশ্য নয়।’ তৃণমূলের ওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট অনুপ মাজি বলেন, এই ধরণের ঘটনা এই প্রথম ঘটল এলাকায়।

[আরও পড়ুন: ‘চাইলেই সব মিলবে না, সরকারের টাকার অবস্থা ভাল নয়’, কড়া মন্তব্য মমতার]

আরেকদিকে ইসমাইল টাওয়ার গলির এক গৃহস্থ বাড়িতে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে একই রাতে। গৃহকর্তা বাসুদেব চট্টোপাধ্যায় ও পূর্ণিমা চট্টোপাধ্যয় দু’দিন বাড়িতে ছিলেন না। শুক্রবার সকালে ফিরে দেখেন ঘরের সবকিছু তছনছ করেছে চোরেরা। তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন, নগদ সাত হাজার টাকা সহ সোনা,রূপার গয়না মিলিয়ে এক লক্ষ টাকার কাছাকাছি মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে৷

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement