Advertisement
Advertisement
বিগ্রহ-চুরি

অবাক কাণ্ড! ফুল, দক্ষিণা-সহ চারশো বছরের পুরনো বিগ্রহ ফেরাল চোর

শুক্রবার রাতে আউশগ্রামে গোপীনাথ মন্দিরের বিগ্রহটি চুরি হয়ে গিয়েছিল।

Thief returns century old deity in East Burdwan district
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:July 21, 2019 6:27 pm
  • Updated:July 21, 2019 6:27 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: মন্দির থেকে গোপীনাথ-রাধারানির যুগলমূর্তি চুরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, শেষপর্যন্ত বিগ্রহটি আর সঙ্গে নিয়ে যেতে পারল না দুষ্কৃতীরা। রীতিমতো ফুল ও দক্ষিণা-সহ মূর্তিটি রেখে দিয়ে গেল অন্য একটি মন্দিরে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। স্থানীয়দের দাবি, গোপীনাথের মহিমাতেই চুরি করেও মূর্তিটি সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেনি দুষ্কৃতীরা।

[আরও পড়ুন: ডিগ্রি ছাড়াই চলছে চিকিৎসা, ‘হাতুড়ে’ ডাক্তারের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ স্থানীয়রা]

পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রামের গোপীনাথের মন্দিরটি প্রায় একশো বছরের পুরনো। আর মন্দিরে গোপীনাথ ও রাধারানির যে যুগলমূর্তির পুজো হয়, সেটির বয়স প্রায় চারশো বছর। শুক্রবার সন্ধ্যায় যখন মন্দিরে আরতি করছিলেন, তখন পুরোহিতের নজরে পড়ে, বেদির উপর বিগ্রহটি নেই। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামে শোরগোল পড়ে যায়। রাতেই গুসকরা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করে মন্দির কমিটি। কিন্তু পুলিশকে আর তদন্ত করতে হল না। কাকতালীয়ভাবে চুরি যাওয়ার একদিন পরই খোঁজ মিলল বহুমূল্য বিগ্রহটির।

Advertisement

আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রাম থেকে ভাতারের মাহাতো গ্রামের দূরত্ব প্রায় দশ কিমি। ওই গ্রামে একটি রাধাকৃষ্ণের মন্দির আছে। রবিবার সকালে সেই মন্দিরের চাতালেই একটি যুগলমূর্তি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, মূর্তি পায়ে ফুল, এমনকী পাশে ২০ টাকা দক্ষিণাও রাখা ছিল। কিন্তু রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে ওই মূর্তিটি কোথা থেকে এল? আশেপাশের গ্রামগুলিতে খোঁজখবর করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।  গোপীনাথ-রাধারানি যুগলমূর্তির ছবি পোস্ট করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। ওই যুগলমূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় গুসকরা ফাঁড়ির পুলিশ। খবর দেওয়া হয় আউশগ্রামের গোপীনাথবাটি গ্রামের গোপীনাথ মন্দিরের সেবাইত গোস্বামী পরিবারকে। পুলিশ জানিয়েছে, ফাঁড়িতে গিয়ে ওই মূর্তিটি শনাক্ত করেন তাঁরা। এদিকে নিয়মাফিক মাহাতো গ্রামে রাধাকৃষ্ণের মন্দির থেকে গোপীনাথ-রাধারানি যুগলমূর্তি উদ্ধার করেছিল পুলিশ। ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা চিন্তা করে আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই বিগ্রহটি গোপীনাথ মন্দিরের সেবাইতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

আউশগ্রামের গোপীনাথ মন্দিরের ধাতুর বিগ্রহটির দাম নেহাত কম নয়। তাহলে সেটি হাতিয়ে নেওয়ার পরই কেন অন্য একটি মন্দির রেখে দিয়ে চলে গেল দুষ্কৃতীরা? মন্দিরের সেবাইত বুদ্ধদেব গোস্বামীর বক্তব্য, ‘আমাদের গোপীনাথ অত্যন্ত জাগ্রত। প্রভুকে চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময়ে হয়তো চোর এমন  কোনও পরিস্থিতিতে পড়েছিল যে, মন্দিরে মূর্তিটি নামিয়ে রাখতে বাধ্য হয়।’ রবিবার মূর্তিটিকে গঙ্গাজলে স্নান করিয়ে ফের মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

[আরও পড়ুন: অতিবর্ষণেও ইলিশ ঢুকছে না বাজারে, হিমঘরের মাছেই স্বাদ মেটাচ্ছেন উত্তরবঙ্গবাসী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement