Advertisement
Advertisement

‘হুজুর মারবেন না’, কলার কাঁদি নিয়ে থানার বড়বাবুর পায়ে পড়ল চোরের দল

আজব কাণ্ড!

Thief return stolen banana in Murshidabad

ছবিতে কলার কাঁদি ফিরে পেলেন বাগান মালিক, ছবি :সুকান্ত চক্রবর্তী৷

Published by: Shammi Ara Huda
  • Posted:October 3, 2018 4:45 pm
  • Updated:October 3, 2018 4:47 pm  

শ্রীকান্ত পাত্র, ঘাটাল: ‘হুজুর মারবেন না প্লিজ৷ আমাদের ছেড়ে দিন৷ এই নিন চুরি করা মাল৷ এই নাক খত দিলাম৷ আর কখনও কলা চুরি করব না৷’ রাত দেড়টার সময় তিন ছিঁচকে চোরের কাণ্ড দেখে হেসে খুন চন্দ্রকোণার পুলিশকর্মীরা৷ চোরেদের কাছে কলার মালিকের নাম ধাম নিয়ে সাতসকালেই ডেকে পাঠিয়েছিলেন থানার বড়বাবু সুদীপ ঘোষাল৷ থানায় পৌঁছে তো টাটকা কলার কাঁদি দেখে বেজায় খুশি মালিক রাহুল রহমান৷ কলার কাঁদি ঘাড়ে তুলে নিয়ে বললেন, ‘এমনও পুলিশ হয়৷ চোর পাকড়াও করে মালিককে ডেকে চুরি যাওয়া মাল ফিরিয়ে দেয় পুলিশ৷ ধন্যবাদ বড়বাবু ধন্যবাদ৷’ অন্যদিকে সত্‍ চোরের কাজে খুশি হয়ে থানা থেকেই জামিন মিলল৷ খোদ থানার বড়বাবু চোরদের মানে মানে বিদেয় করলেন৷ ঘটনাটি খুলেই বলা যাক৷

রাত দেড়টা নাগাদ শহরের পথে টহল দিচ্ছিলেন চন্দ্রকোণা পুলিশের কর্মীরা৷ টহলরত পুলিশকর্মীরা দেখে নবকুঞ্জতলার এক কলাবাগান থেকে কলার কাঁদি ঘাড়ে নিয়ে বেরিয়ে আসছে তিন ব্যক্তি৷ তাঁরা যে কলা চুরি করে বেরিয়ে আসছে তা বুঝতেই পারেননি পুলিশকর্মীরা৷ সামনে উর্দিধারী পুলিশ দেখে থ তিন চোর৷ সামনে সাক্ষাত্‍ যম দেখে আর পালাতে মন চায়নি চোরেদের৷ কলার কাঁদি ঘাড়ে নিয়ে সটান পুলিশ কর্তার পায়৷ বাঁচান হুজুর, ‘আর কখনও কলা চুরি করব না৷ এই নাক কান মলা খেলাম৷ মারবেন না৷’ বলেই হাউমাউ করে টহলদার দলে থাকা পুলিশ কর্তার পা ধরে কাঁদতে শুরু করে দেয় তিন কলা চোর৷ এই কাণ্ড দেখে পুলিশ কর্মীরাও হতবাক৷

Advertisement

[অনুপ্রেরণা দিবসের অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠে উদ্দাম নাচ কংগ্রেস বিধায়কের]

মোদ্দা কথাটি ভালমতোই বুঝলেন পুলিশ কর্তা৷ এরা কলা চুরি করতে বাগানে ঢুকেছিল৷ যদিও তাদের দেখে বাগান মালিক বলেই মনে হয় পুলিশ কর্তার৷ ভেবেছিলেন বাগান মালিকই বোধ হয় কলার কাঁদি কেটে সকালের বাজার ধরতে চান৷ এমন তো হয়েই থাকে৷ যাই হোক, তিন কলা চোরকে পাকড়াও করে থানায় নিয়ে আসেন ওই পুলিশ কর্তা৷ চোরেদের কাছে বাগান মালিকের নাম ধাম নিয়ে ডেকে পাঠান বড়বাবু সুদীপ ঘোষাল৷ বাগান মালিক রাহুল রহমানের বাড়ি গোঁসাইবাজারে৷ পুলিশের ফোন পেয়ে সাত সকালেই হাজির রহমান সাহেব৷ তিনি তো বেজায় খুশি৷ কলার কাঁদিগুলি নিয়ে বাড়ি ফিরে যান তিনি৷ আর সত্‍ চোরেদের কাজে খুশি হয়ে তাঁদের অবশেষে ছেড়েই দিলেন সুদীপবাবু৷ হাসতে হাসতে সুদীপবাবু অনুরোধ করলেন, ‘প্লিজ আর যাই করুন চোরেদের নাম প্রকাশ করবেন না৷ আর যাইহোক ওরা তো সত্‍ চোর! তাই না৷’

[পরকীয়া অপরাধ নয়, সাফাই শুনেই বন্ধুর গলায় কোপ যুবকের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement