সৌরভ মাজি, বর্ধমান: এবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের (The University of Burdwan) উপাচার্যর নামে ভুয়ো ই-মেল পাঠিয়ে প্রতারণা করা হল এক অধ্যাপিকার সঙ্গে। ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ও স্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ হাজার টাকা খুইয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে জাতীয় সাইবার ক্রাইম পোর্টালে অভিযোগ করেছেন ওই অধ্যাপিকা। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা না হওয়ায় বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন অধ্যাপিকা পারমিতা মণ্ডল। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
গত ১২ জুন প্রথমবার প্রকাশ্যে এসেছিল ভুয়ো ই-মেলের বিষয়টি। ওইদিন প্রথম বিভিন্ন জনের কাছে উপাচার্য নিমাইচন্দ্র দাসের নামে ভুয়ো ই-মেল পাঠানো হয়েছিল অর্থ চেয়ে। বিষয়টি গোচরে আসার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সতর্ক করা হয়েছিল যাতে এই প্রতারণার ফাঁদে যাতে কেউ পা না দেন। বিষয়টি সেই সময় পুলিশকেও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরও ওই অধ্যাপিকা প্রতারণার ফাঁদে পা দেন গত ৪ আগস্ট। জানা গিয়েছে, ওই দিন একইভাবে উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহার নামে ই-মেল পাঠিয়ে প্রতারণা করা হয় ওই অধ্যাপিকাকে। বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিন ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অভিজিৎ মজুমদার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ভুয়ো ই-মেল নিয়ে সতর্ক করে প্রত্যেককে।
জানা গিয়েছে, ৪ আগস্ট সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ ওই অধ্যাপিকাকে মেল পাঠানো হয়। দ্রুত উত্তর দিতে বলা হয়। অধ্যাপিকা উত্তর দেওয়ার পরই ফের তাঁর কাছে একটি মেল আসে। তখন একটি অনলাইন শপিং সাইটের ৫ হাজার টাকার ৪টি ই-গিফট কার্ড পাঠাতে বলা হয়। সরল মনে তিনি তা পাঠিয়েও দেন নিজের ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে। এরপর ফের তাঁকে আরও ৬টি ই-গিফট কার্ড পাঠাতে বলা হয়। তিনি স্বামীর ডেবিট কর্ড ব্যবহার করে তা পাঠান। এরপর ফের তাঁকে ই-গিফট কার্ড পাঠাতে বলা হয়। ততক্ষণে অধ্যাপিকা ও তাঁর স্বামীর অ্যাকাউন্ট থেক ৫০ হাজার টাকা চলে গিয়েছ। তখন সন্দেহ হয় ওই অধ্যাপিকার। বুঝতে পারেন উপাচার্যর ভুয়ো মেল ব্যবহার করে প্রতারণা করা হয়েছে তাঁদের। এরপরই তিনি জাতীয় সাইবার পোর্টালে অভিযোগ জানান। লকডাউন জনিত কারণে সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে যেতে পারেননি। তবে ডেবিট কার্ডগুলি ব্লক করিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.