সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: ধর্ষিতাকে অভিযোগ তুলে নেওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে। নেপথ্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তেমনই অভিযোগ নির্যাতিতার পরিবারের লোকেদের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। ঘটনাটি দুর্গাপুরের।
দুর্গাপুর-ফরিদপুর থানা এলাকায় প্রতাপপুরের রুইদাসপাড়ার বাসিন্দা এক ৩৮ বছরের বিধবাকে প্রতিবেশী বাবলু রুইদাস গত ১০ অক্টোবর রাতে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ৷ বছর সাতেরো আগে এই মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার পর দুই মেয়ের বিয়েও দিয়ে দিয়েছেন তিনি। বর্তমানে মিডডে মিলের রান্না করে সংসার চলে৷ মহিলার অভিযোগ, “ওই দিন রাতে বাথরুম থেকে ফেরার পথে পাঁচিল টপকে ঘরে ঢোকে বাবলু৷ মারধর করার পর ধর্ষণ করে৷ সকালে হুঁশ ফিরলে প্রতিবেশীদের জানিয়ে বাপের বাড়ি চলে যাই৷”
[প্রেমের টানে কানাডার তরুণী কালনায়, টিনের ঘরে বিদেশি বউ দেখতে ভিড়]
নির্যাতিতার দাবি, ধর্ষণের অভিযোগ জানাতে থানায় গিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্তু, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন. শেষপর্যন্ত আদালতে নির্দেশ বাধ্য হয়েই অভিযুক্ত বাবলু রুইদাসকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ বর্তমানে সে জেলে৷ মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করেছে পুলিশ৷ কিন্তু, আদালতের সেই অভিযোগ তোলার জন্যে এখন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা ওই মহিলাকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ৷
[বজবজে বিসর্জন ঘাটে শুটআউট, গুলিবিদ্ধ যুবক]
ওই মহিলার অভিযোগ, “অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্যে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা চাপ দিচ্ছেন৷ না তুললে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে তারা৷” এই হুমকির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি-১ অভিষেক মোদি৷ তিনি বলেন, ‘‘হুমকির বিষয়ে ওই মহিলা থানায় অভিযোগ করলে অবশ্যই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তৃণমূলের দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য সুজিত মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কোনও নেতা বা কর্মী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। ওই মহিলা অভিযোগ জানালেই তদন্ত করে দেখবে৷ অভিযোগ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[রাতে রেললাইনে বসে গল্প! ট্রেনের ধাক্কায় দুই বন্ধুর মৃত্যু]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.