Advertisement
Advertisement

মৃদু কম্পনই ভয়ের, ভূগর্ভে লুকিয়ে বড়সড় ভূমিকম্পের বীজ

হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘ইয়োসিন রেঞ্জ’।

The story behind Kolkata Earthquake

ছবি: প্রতীকী

Published by: Suparna Majumder
  • Posted:August 29, 2018 8:33 am
  • Updated:August 29, 2018 8:33 am  

স্টাফ রিপোর্টার: হালকা দুলু্‌নি। ভাল মতো বুঝে ওঠার আগেই শেষ। কিন্তু সেই কম্পনেই তীব্র আতঙ্ক ছড়াল দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভূমিকম্পে কাঁপল হুগলি, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং নদিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ভূতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫। কম্পনের এপিসেন্টার হুগলি হওয়ায় শহরবাসীও ভূমিকম্প টের পেয়েছে। কিন্তু কম্পনের স্থায়িত্ব কম হওয়ায় কোথাও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন কেঁপে ওঠে ভূমিকম্পে। তবে এ রাজ্যে, বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গে দীর্ঘদিন ভূমিকম্প অনুভূত হয়নি। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ১৪ তারিখ ভূমিকম্পে কেঁপেছিল শহর কলকাতা। এরপর ভূমিকম্প সেভাবে হয়নি। এদিনের ভূমিকম্পের উৎসস্থল হুগলি হলেও এর আসল কারণ কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে ইন্দোনেশিয়ায় লুকিয়ে আছে বলে মনে করছেন ভূতত্ত্ববিদরা। আবহাওয়া গবেষক সুজীব কর বলেন, মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার ‘তিমোর’ অঞ্চলে বড়সড় তিনটে ভূমিকম্প হয়েছে। যার জেরেই হঠাৎ সক্রিয় হয়ে উঠেছে ‘ইয়োসিন রেঞ্জ’। নেপালের ভূমিকম্পের পর থেকেই বঙ্গোপসাগর ভারসাম্যহীন অবস্থায় থাকায় ভূমিকম্পনের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে তুলেছিল বলে এদিন জানিয়েছেন সুজীববাবু।

Advertisement

[পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন ঘিরে উত্তপ্ত বনগাঁ, কোপানো হল তৃণমূল কর্মীকে]

এদিন সন্ধ্যা ৬.৩৩ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় হুগলিতে। এরপরই কেঁপে ওঠে দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম। এর জেরে এগরা পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডে হটনাগর মন্দির ট্রাস্ট কমিটির দীর্ঘদিনের পুরনো একটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় দিঘার পর্যটকদের মধ্যেও। বিশেষ করে হোটেলগুলির উপরতলায় থাকা পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে হুড়মুড়িয়ে নিচে নেমে আসার চেষ্টা করেন। এদিকে দিঘার সমুদ্রের পাড়ে আচমকাই ঢেউয়ের গতি বেড়ে যায়। পর্যটকদের সাইরেন বাজিয়ে সতর্ক করে দেয় প্রশাসন। পাশাপাশি সমূদ্রের পাড় থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় পর্যটকদের।

একই ভাবে তমলুক, কোলাঘাট, পাঁশকুড়া, নন্দকুমার, মহিষাদল, হলদিয়াতেও এই ভুমিকল্প অনুভূত হয়। প্রচুর মানুষ এক সঙ্গে রাস্তায় নেমে আসেন। অন্যদিকে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল, দাসপুর, কেশপুর, চন্দ্রকোণা, মেদিনীপুর, খড়গপুর, শালবনি, গড়বেতা-সহ প্রায় সর্বত্রই মৃদু ভুমিকম্প অনুভূত হয়।

[তিনদিন প্ল্যাটফর্মে পড়ে অসুস্থ বৃদ্ধা, ফিরেও দেখল না কেউ!]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement