নিজস্ব সংবাদদাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কৃষকরা পেয়েছেন তাদের ন্যায্য অধিকার৷ সিঙ্গুরের জমিতে বপন হয়েছে সরিষার বীজ৷ আর এবার সিঙ্গুরের মাটিতে সরিষার খেতকে সোনালি রঙে রাঙিয়ে তুলতে জলসেচের ব্যবস্থা করছে হুগলি জেলা প্রশাসন৷ বসানো হচ্ছে ৫৬টি মিনি ডিপ টিউবয়েল৷ গোপালনগর, খাসেরভেড়ি, বেড়াবেড়ি, সিংহের ভেড়ি, বাজেমেলিয়া– এই পাঁচটি মৌজায় মিনি টিউবয়েল বসানো হবে বলে হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে৷ তার কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে৷
পাশপাশি জেলা প্রশাসন বলছে, ২০০৬ সালে বাম সরকার সিঙ্গুরের গাড়ি কারখানার জন্য প্রকল্প এলাকা থেকে ৫০টি ডিপ টিউবয়েল তুলে নেয়৷ শুধুমাত্র গোপালনগর মৌজায় একটি হেভি ডিপ টিউবয়েলের অস্তিত্ব ছিল৷ প্রাথমিকভাবে প্রশাসনের আধিকারিকরা মনে করেছিলেন, নতুন একটি মোটর লাগিয়ে এই হেভি ডিপ টিইবয়েলটি চালু করা সম্ভব৷ কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায় বোরিং করে মাটির নিচে যেখান দিয়ে পাইপ গিয়েছে সেখানে পাথর রয়েছে৷ ফলে জেলা প্রশাসনের আধিকরারিকরা জমিতে সেচের জন্য ডিপ টিউবয়েল বসানোর সিদ্ধান্ত নেন৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এই মিনি ডিপ টিউবয়েল বসানোর কাজও শুরু হয়েছে৷ গোপালনগর মৌজায় প্রায় ১৫টি মিনি ডিপ টিউবয়েল বসানো হবে৷
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে গোপালনগর মৌজায় বোরিং করে পাইপ বসানোর কাজ প্রায় শেষ৷ দিন দু’য়েকের মধ্যে একটি মিনি ডিপ টিউবয়েল থেকে চাষের জমিতে জল দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে৷ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনি ডিপটিউবয়েলগুলিতে বিদ্যুত্ সংযোগের প্রয়োজন রয়েছে৷ সেই কারণে সিঙ্গুরের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি বসানো হবে৷ যতদিন পর্যন্ত এই বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর কাজ শেষ না হচেছ, ততদিন পর্যন্ত বাইরে থেকে অস্থায়ীভাবে বিদ্যুত্ সংযোগের মাধ্যমে মিনি ডিপ টিউবয়েলগুলি চালানো হবে৷ প্রায় ২০০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত জমিতে জল দিতে পারবে মিনি ডিপ টিউবয়েলগুলি৷ সিঙ্গুরের জমি চাষযোগ্য করেই কৃষকদের ফেরত দেওয়া হবে, এটাই ছিল সরকারের লক্ষ্য৷ সেই লক্ষ্যেই ২০ অক্টোবর কৃষকরা তাঁদের জমি ফিরে পেয়েছেন৷ প্রশাসন থেকে কৃষকদের কৃষি সরঞ্জাম দেওয়া হয়েছে৷ এবার চাষের কাজে কৃষকদের বাড়তি সাহায্যের জন্য মিনি ডিপ টিউবয়েল বসিয়ে জলসেচেরও ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.