দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: করোনার পর এবার ডেঙ্গুতে আতঙ্ক। ডেঙ্গু আক্রান্ত সত্তোরোর্ধ ঠাকুমা ও নাতিকে ঘরে ঠাঁই দিলেন না বাড়ির মালিক। শেষ পর্যন্ত রিষড়া ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শুভজিৎ সরকারের উদ্যোগে ঘরছাড়া ঠাকুমা ও নাতি রিষড়া সেবা সদনের একটি ঘরে ঠাঁই পান। একরাত ঘরের বাইরে কাটানোর পর শেষ পর্যন্ত কাউন্সিলারই উদ্যোগ নিয়ে বুধবার রাতে ভাড়া বাড়িতে ঠাকুমা ও নাতিকে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন। চরম অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়ার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিসভা এলাকাতেই বৃদ্ধা মানসী কেওয়াট তার ২০ বছরের নাতিকে নিয়ে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। এক সপ্তাহ আগে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানসীদেবী শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর পরীক্ষার পর ধরা পড়ে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তারপর চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হন। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়মবিধি মেনে তার করোনার পরীক্ষাও হয়। দু’বার পরীক্ষাতেই তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার মানসীদেবীকে সুস্থতার সার্টিফিকেট দিয়ে ছেড়ে দেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মানসীদেবী ও তার নাতিকে ঢুকতে দিতে নারাজ বাড়িওয়ালা। অভিযোগ, এলাকার মানুষ অনেক বোঝানোর পরও ঠাকুমা নাতিকে ঢুকতে দেননি তিনি।
এলাকার মানুষের বক্তব্য করোনার কারণেই আতঙ্কিত বাড়িওয়ালা ভুল বুঝে তাঁদের ঢুকতে দেয়নি। স্থানীয় কাউন্সিলার শুভজিৎ সরকার ঠাকুমা ও নাতিকে রিষড়া সেবা সদনের একটি ঘরে রাতে থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। বুধবার কাউন্সিলার নিজে উদ্যোগ নিয়ে বাড়িওয়ালাকে বুঝিয়ে তাঁর মনের ভুল ধারণা ভাঙিয়ে শেষ পর্যন্ত ঠাকুমা ও নাতিকে ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেন। কাউন্সিলারের এই উদ্যোগে খুশি এলাকার মানুষ। শুভজিৎবাবু বলেন এখনো মানুষ অজ্ঞতার কারণে ভুলের বশবর্তী হয়ে এই ধরণের কাজ করে থাকেন ভাবলে অবাক লাগে। তবে মানুষের মধ্যে এই অজ্ঞতা দূর করে তাদের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করার জন্য সাধারণ মানুষের আরও বেশি করে এগিয়ে আসতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.