রাজা দাস, বালুরঘাট: কুশমণ্ডির বিখ্যাত মুখোশ শিল্পকে দেশ ও আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে শুরু হল মুখা মেলা৷ এই মেলাকে কেন্দ্র করে পালা, খন, ভাওয়াইয়া গান-সহ মুখোশ নৃত্যের মত ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডিতে শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মুখা মেলা চলবে আগামী রবিবার পর্যন্ত।
কুশমন্ডির মহিষবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদি ও গ্রামীণ শিল্প পর্ষদ ও বাংলা নাটক ডট কমের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলায় অংশ নিয়েছেন পাঁচ শতাধিক শিল্পী। জেলার কুশমণ্ডির এলাকার মহিষবাথানে অনুষ্ঠিত এই মেলার উদ্বোধন করেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। মেলায় ৩০টির বেশি স্টলে ৩০০০ উপর মুখোশ রয়েছে প্রদর্শন ও বিক্রয়ের জন্য। এছাড়া বাঁশের কারুকার্য করা মুখোশ ও সৌখিন সামগ্রীর রাখা হয়েছে। পঞ্চম বর্ষে পড়ল এবারের এই মুখা মেলা। মুখোশ প্রদর্শনী ও বিক্রির পাশাপাশি মেলার চলবে বাউল, ছৌনাচ, ভাওয়াইয়া, খন প্রভৃতি।
[বৃদ্ধা মাকে বাড়িতে টানা ১০ দিন আটকে রেখে বেড়াতে ছেলে-বউমা]
মহিষবাথান হস্তশিল্প সমবায় সমিতির সম্পাদক পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, ‘‘মুখোশ শিল্প এখন দেশের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে গিয়েছে।’’ রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় মহিষবাথানের মুখোশ শিল্পের প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যেই এই ধরনের মেলার সূচনা বলে জানান তিনি৷ দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির এই শিল্পের উন্নতির জন্য সরকারের পক্ষ থেকে একগুচ্ছের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ একসময় বিক্রির বাজারের অভাবে শিল্পীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিলেন। মাত্র ২৭ জন শিল্পী ধরে রেখেছিলেন এই শিল্পকে৷ এখন ফের এই শিল্পে উৎসাহ দেখা দিয়েছে নতুন প্রজন্মের মধ্যে৷ শিল্পীর সংখ্যা অন্তত প্রায় পাঁচ শতাধিক বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও জানান তিনি৷
[জাল আধার ও ভোটার কার্ড চক্রের পর্দাফাঁস, ধৃত বনগাঁ আদালতের মুহুরি-সহ ২]
প্রসঙ্গত, জেলার কুশমণ্ডির প্রাচীন মুখা শিল্পর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এলাকার প্রায় হাজার পাঁচেক মানুষ। শিল্পকে বাজারজাত করতে আগে হিমশিম খেতে হত। সরকারি পরিকল্পনা না থাকায় পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল শিল্পীরা৷ পেশার সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ শিল্পী পাড়ি দিচ্ছিলেন ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজে৷ তবে, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসতেই এই শিল্পকে বাঁচাতে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া শুরু করেছে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.