নিজস্ব চিত্র।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: ময়নাতদন্তে বিলম্ব হওয়ায় সিউড়ি সদর হাসপাতালে (Suri Sadar Hospital) তাণ্ডব চালাল মৃতের পরিবার। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয়েছে ওয়ার্ড মাস্টারের অফিস। এছাড়াও কর্তব্যরত স্বাস্থ্য কর্মীদের উপর ৫০-৬০ জন যুবকে চড়াও হয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে মৃতের পরিজন ও তাঁর প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। হাসপাতালের সুপারের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সিউড়ি থানায়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সিউড়ির কামালপুরের বাসিন্দা পাপু দলুইকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে মৃতের ময়নাতদন্ত (Autopsy) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মৃত ব্যক্তির পরিজনেরা, ময়নাতদন্তে বিলম্ব হচ্ছে অভিযোগ তুলে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এর পর ওয়ার্ড মাস্টারের অফিসে চড়াও হয়ে তাঁরা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
কর্তব্যরত কর্মী রানাপ্রসাদ রায় বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি, পুলিশ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তার জন্য সময় লাগে। কিন্তু মৃত ব্যক্তির দেহ নিতে আসা লোকজনেরা সেই সময় না দিয়ে উত্তেজিত হয়ে পড়েন। ওয়ার্ড মাস্টার অফিসের জানালার কাচ ভেঙে দিয়েছে। আমাদেরকেও মারতে আসে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।” ওয়ার্ড মাস্টার রুমের কর্মী দেবজ্যোতি মুখোপাধ্যায় জানান, “দুপুর দুটো নাগাদ এই ঝামেলা হয়। আমরা আতঙ্কিত।”
অপর দিকে, উত্তেজিত জনতা মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, “একদিন ধরে দেহ হাসপাতালে পড়ে রয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়ায় গতি আনতে বলেছিলাম। কিন্তু কেউ ভ্রুক্ষেপই করছিল না। সকলে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন।” হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জন মণ্ডল জানিয়েছেন, “ময়নাতদন্তের জন্য নানা পদ্ধতি, নথিপত্র তৈরি করতে হয়। সেই সময়টুকু তো দিতে হবে। অযথা এই ধরনের আচরণ করা হয়েছে। আমরা নিয়ম মেনে সিউড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.