Advertisement
Advertisement
ED

কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি ইডির, লালার খোঁজে হন্যে গোয়েন্দারা

গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর, লেকটাউনের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা।

The ED conducts blanket raid in West Bengal in Coal smuggling case | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 11, 2021 1:23 pm
  • Updated:January 11, 2021 1:44 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পাচার কাণ্ডে সোমবার রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযানে নামল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। হাওয়ালার মাধ্যমে যে বিপুল অঙ্কের টাকা এদিক ওদিক পাচার করা হত, সেই কোটি কোটি টাকার উৎস সন্ধানে তৎপর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। পাশাপাশি, মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজেও কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি।

[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে দল]

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ১৫টি গাড়িতে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে নামেন ইডির আধিকারিকরা। লালা ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ব্যবসায়ী গণেশ বাগাড়িয়ার বাঙুর, লেকটাউনের তিনটি বাড়িতে তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। অন্য দিকে গাড়িয়া, শ্রীরামপুর, রানিগঞ্জ, আসানসোলের ইসিএল কর্মী এবং বিভিন্ন ব্যবসায়ীর বাড়িতেও কেন্দ্রীয় আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, কয়লা পাচারের সঙ্গে বাংলার রাজনীতি মহলের একাধিক রাঘব বোয়াল জড়িত। টাকার ‘গমন পথ’ ধরে সেই আঁতাঁত প্রকাশ্যে আনার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ইসিএল, সিআইএসএফ ও রেলকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে পাচারচক্র চালাত লালা। বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকেও সঙ্গে নিয়েছিল সে। তাঁদের মাধ্যমেই বিভিন্ন ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে কোটি কোটি টাকা হাতবদল করেছে লালা। কয়লা পাচারের টাকা দুবাইয়েও পৌঁছে গিয়েছে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর মাধ্যমেই।

Advertisement

উল্লেখ্য, সিবিআইয়ের তরফে তিনদফা নোটিস জারি করার পরেও সিবিআইয়ের কাছে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেয়নি বা কোনওরকম যোগাযোগ করেননি অনুপ মাঝি। তারপরই তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এদিকে, গরু ও কয়লা পাচারকারীদের মধ্যে যে যোগাযোগ রয়েছে সেই প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারকারীদের সঙ্গে ইসিএল কর্তাদের সখ্যের একাধিক নমুনা পেয়েছে সিবিআই। ইসিএলের জায়গায় কয়লা পাচারকারীদের বেআইনি মেশিনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। গরু পাচারের তদন্তে বিএসএফের সহযোগিতা চেয়েছিল সিবিআই। ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে বিএসএফের পোস্টেড কর্মীদের তালিকা পাঠাল সংশ্লিষ্ট দপ্তর। বিএসএফের গ্রেপ্তার হওয়া কমান্ডেন্ট সতীশ কুমার দায়িত্বে থাকাকালীন মালদহ, মুর্শিদাবাদ সীমান্ত গরু পাচারের মূল করিডোর ছিল বলে তদন্তে দেখেছে সিবিআই। কিভাবে, কাদের সহযোগিতায় পাচার চলতো তার বহু তথ্য পাওয়ার পাশাপাশি তদন্তকারীরা সতীশ কুমারের আত্মীয়দের অ্যাকাউন্ট কোটি কোটি টাকার হদিস পেয়েছে। একাজে সতীশ কুমারকে বিএসএফের কারা সহযোগিতা করতেন তার বিস্তারিত তথ্য পেতে সিবিআই দু’বছরের পোস্টেড কর্মীদের অনেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়।

[আরও পড়ুন: ‘তোর হাত কেটে নেব’, শুভেন্দুকে কড়া হুঁশিয়ারি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement