Advertisement
Advertisement

চোলাই কারবারের রমরমা ঠেকাতে উন্নয়নই হাতিয়ার জেলা প্রশাসনের

চোলাই কারবারিদের নামের তালিকা তৈরির উদ্যোগ৷

The district administration campaign against consuming hooch
Published by: Kumaresh Halder
  • Posted:December 6, 2018 9:47 am
  • Updated:December 6, 2018 9:47 am  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: চোলাই কারবারের সঙ্গে যুক্ত দাগী আসামিদের বিরুদ্ধে এবার আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন৷  শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় লাগাতার সচেতনতার পাঠ ও উন্নয়নের বার্তা দিয়ে তাঁদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷ বেআইনি চোলাইয়ের কারবার ঠেকাতে উন্নয়ন ও শাস্তির জোড়া অস্ত্র ব্যবহারের পথে হাঁটতে চলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন৷

[ফ্লেক্সে ঢেকেছে ঐতিহ্যবাহী ঘড়ি, দৃশ্যদূষণের শিকার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়]

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার সভাকক্ষে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন আবগারি দপ্তর ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা৷ সেখানে যৌথ অভিযান ধারাবাহিক ভাবে চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, বেআইনি চোলাই কারবার সমূলে বিনষ্ট করতে পরিকল্পনা মাফিক পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ জনপ্রতিনিধিদেরও বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে এই কাজে৷

Advertisement

[লোকালয় থেকে হাতি তাড়াতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ গেল যুবকের]

জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘‘ব্লক-স্তরে ধারাবাহিক নজরদারি চালানো হবে৷ পঞ্চায়েত প্রধানদের একটি করে শংসাপত্র দিতে হবে৷ তাঁর এলাকায় কোথাও বেআইনি চোলাইয়ের থাকলে, কারা এর সঙ্গে যুক্ত তাদের নাম জানাতে হবে৷ নির্দিষ্ট করে এলাকার নামও জানাতে হবে৷ সেই তালিকা ধরে অভিযান শুরু হবে।’’ তবে শুধু আইনি ব্যবস্থা নেওয়াই নয়, উন্নয়নকেও এই কারবার বন্ধে হাতিয়ার করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক৷ তিনি বলেন, ‘‘আদিবাসী এলাকায় যদি দেখা যায়, উন্নয়নে কোনও ঘাটতি রয়েছে, তাহলে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হবে৷’’ জেলাশাসক আরও বলেন, “যদি কোথাও দেখা যায়, আদিবাসী এলাকায়, উন্নয়ন করলে বেআইনি চোলাইয়ের কারবার আটকানো যায়, তাহলে সরকার সেটাও করবে৷ আদিবাসী উন্নয়ন প্রকল্পও তৈরি করতে হবে৷ আমরা চাইছি, বেআইনি চোলাইয়ের কারবার বন্ধ করতে আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি উন্নয়নও করা হবে৷”

[ভরসন্ধেয় শুটআউট কৃষ্ণনগরে, দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুবক]

পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানান, চোলাইয়ের কারবার বন্ধ করতে ধারাবাহিক অভিযান চলাচ্ছে আবগারি দপ্তর৷ পুলিশও নেমেছে এই অভিযানে৷ একইসঙ্গে তিনি বলেন, “এই কারবার বন্ধ করার জন্য দেখতে হবে, দাগী আসামি কারা রয়েছে৷ অর্থাৎ যারা বারবার ধরা পড়েও এই কারবারে ফিরে গিয়েছে বা কারবার চালিয়ে যাচ্ছে, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে৷ তারপর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷” এছাড়াও পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গত একমাসে এই বেআইনি মদের কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রায় সাড়ে ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এবার থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে এই কারবার পুরোপুরি বন্ধের ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement