Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পাশাপাশি কাজও হচ্ছে বাংলায়, প্রশংসা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির

রাজ্যে বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবি জানালেন প্রধান বিচারপতি৷

The Chief Justice of Kolkata High Court appreciates the state govt

ছবি: উদয়ন গুহ রায়৷

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 29, 2018 7:38 pm
  • Updated:July 29, 2018 7:38 pm  

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বর্তমানে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির বদল হয়েছে৷ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেই হয়ে যেত৷ এখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে কাজও হচ্ছে৷ রবিবার দুর্গাপুরের নতুন পাঁচতলা আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে প্রশংসা করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য৷ প্রশংসার পাশাপাশি রাজ্যে বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামোগত উন্নয়নের দাবিও করেন প্রধান বিচারপতি৷

[উত্তরপ্রদেশের ছবি বহরমপুরের ঘটনা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, আটক যুবক]

১৯৬৮ সাল থেকেই দুর্গাপুর মহকুমা আদালত আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থাকে বাড়ি ভাড়া দিয়েই চলেছে৷ এমনিতেই দুর্বল পরিকাঠামোর জন্যে নতুন আদালত ভবনের দাবি দীর্ঘদিনের৷ তাই ‘মডেল কোর্ট অফ ইন্ডিয়া’ গড়ে তোলা হচ্ছে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতকে৷ বিশেষ সুবিধাযুক্ত এই আদালত রাজ্যে প্রথম বলে এদিন জানান বিচারপতিরা৷ প্রথমে পাঁচতলা বিশিষ্ট এই নতুন আদালত ভবন গড়ে তোলা হলেও আগামী দিনে সাততলা নির্মাণের জন্যে পরিকাঠামোও থাকছে এই নতুন ভবনে৷ ২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হবে সম্পূর্ণ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই ভবন৷ মোট ১১টি এজলাস থাকছে৷ ‘স্টেট অফ দ্য আর্ট’ এই নতুন আদালতে ‘ন্যাশানাল কেয়ার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এনসিএমএস)’ অনুযায়ী প্রতিটি নথি ডিজিটাইড করার সুবিধা থাকছে দুর্গাপুরের নতুন আদালত ভবনে৷ ভিডিও কনফারেন্সেরও সুবিধা থাকছে নতুন ভবনে৷

Advertisement

[বেঙ্গল সাফারি পার্কের তিন নতুন অতিথির যত্নআত্তিতে ব্যস্ত কর্তৃপক্ষ]

এই নতুন আদালত ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বলেন, “ঐতিহাসিক দিন আজ দুর্গাপুরের জন্য৷ বিচার ব্যবস্থা গণতন্ত্রের একটি শক্ত স্তম্ভ৷ কিন্তু, অন্য দুই পিলার তাকে বন্ধু ভাবেনি৷ বাজেটে বিচার ব্যবস্থার জন্যে বরাদ্দও কম থাকে৷ বাজারের মধ্যেই আদালত ভবন রাজ্যের বহু জায়গায়৷ বিচার বেচা-কেনার বিষয় নয়৷ এমনকি ভাড়া বাড়িতেও আদালত চলবে, তাও ঠিক নয়৷ বর্তমানে রাজ্যে মোট কোর্টের সংখ্যা ১০৪০টি৷ এনসিএমএসের নিয়ম অনুযায়ী এই সংখ্যা হওয়া উচিত ১৭০০৷’’ তিনি আরও বলেন,“ বাইশ লক্ষ মামলা জমে আছে৷ তাই কথায় কথায় আদালত বন্ধ করা যাবে না৷ সমস্যা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করুন৷ আদালত বন্ধ করবেন না৷ এমনিতেই তিনজন বিচারপতির কাজ একজনকে করতে হচ্ছে এখানে৷ তাদের উপর প্রচণ্ড চাপ রয়েছে৷ বিচার ব্যবস্থা আরও মজবুত হওয়া প্রায়োজন৷” এরপরই তিনি বলেন, “তবে, বর্তমানে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গির বদল হয়েছে৷ আগে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেই হয়ে যেত৷ এখন ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সঙ্গে সঙ্গে কাজও হচ্ছে৷”

[এসি কামরায় উঠে রাতভর বৃষ্টির জলে ভিজলেন বিখ্যাত শিল্পী সাবির খান]

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে এদিনের অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইন ও শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিচার ব্যবস্থার পরিকাঠামো উন্নয়নে কোন কার্পণ্য করেননি৷ যেখানে এখনও পরিকাঠামোর অভাব আছে সেখানে উপযুক্ত পরিকাঠামো গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ নতুন আইনজীবীদের জন্যে রাজ্য সরকার স্টাইপেন্ড চালু করেছে৷ অ্যাডভোকেট ওয়েলফেয়ার ফান্ড থেকে আইনজীবীর হঠাৎ মৃত্যু হলে আর্থিক সাহায্যও করাও হচ্ছে৷ রাজ্যে বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্যে রাজ্য সরকার সবসময় সচেষ্ট৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement