ছবি: প্রতীকী
রাজা দাস, বালুরঘাট: পেরিয়ে গিয়েছে ১০ দিন। কিন্তু এখনও আতঙ্কে কাঁটা জামালপুরের বর্মন পরিবারের প্রতিবেশীরা। তাঁদের মনে ধারণা তৈরি হয়েছে যে, এক পরিবারের পাঁচ সদস্যের এই মর্মান্তিক পরিণতির নেপথ্যে রয়েছে ঝাঁড়ফুক। ঘটনার শিকড়ে পৌঁছনোর চেষ্টায় সিআইডি আধিকারিকরা।
দিন দশেক আগে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) জামালপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহকর্তা, তাঁর স্ত্রী, মা ও দুই মেয়ের দেহ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল গৃহকর্তা অনু বর্মনই খুন করেছেন পরিবারের সদস্যদের। তারপর আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। প্রাথমিকভাবে উঠে এসেছে সম্পত্তি নিয়ে অশান্তির তত্ত্ব। তবে এর নেপথ্যে লুকিয়ে থাকা কারণ ঝাড়ফুঁকও হতে পারে বলে অনুমান স্থানীয়দের। কারণ, ওই বাড়ি সংলগ্ন জমিতে পড়ে থাকত বলি দেওয়া পায়রার মাথা, ফুল ও বেলপাতা! মৃত্যুর আগেও তুকতাক করা হচ্ছিল বলে দাবি একাংশের। পুরো বিষয়টি নিয়ে গোটা গ্রামজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
মৃতদের এক আত্মীয় মানিক বর্মণ বলেন, “অনুর বাড়ির সামনে মাঝেমধ্যেই সকাল বেলা বলি দেওয়া পায়রার দেহ, ফুল, বেলপাতা পড়ে থাকত। কিছুদিন আগেই আমাদের কাছে অনু গল্প করেছিল। এথেকে পরিষ্কার কেউ তুঁকতাক করেছিল। ওই বাড়িতে কেউ নজর রাখত। এই ঘটনায় অনুও বিরক্ত ছিল। এরপর পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।” উল্লেখ্য, জামালপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত অনু বর্মনের বাড়িটি রাস্তার ফাঁকা জায়গায়। সেই রাস্তা দিয়ে আগে সন্ধের পরও যাতায়াত করতেন গ্রামবাসীরা। তবে এখন সেই অভিশপ্ত বর্মন বাড়ির সামনে দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছেন প্রায় সকলেই। কারণ একটাই, আতঙ্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.