রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সমাজের মতোই রাজনীতির ময়দানেও বুদ্ধিজীবীদের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তাই ২০২১-এর নির্বাচনের আগে বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করার ভাবনা শুরু করল গেরুয়া শিবির। আর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব এই দায়িত্ব দিল কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ, অধ্যাপক অনুপম হাজরাকে (Anupam Hazra)।
অমিত শাহ’র (Amit Shah) বাংলা সফরের পরই বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করার ভাবনা নিয়ে মাঠে নামে বিজেপি। অনুপম জানিয়েছেন, অমিত শাহের উপস্থিতিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বি এল সন্তোষের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। তাঁর কথায়, “সমাজের বিশিষ্ঠজনদের নিয়ে অরাজনৈতিকভাবে রাজনৈতিক সচেতনতা প্রচার করতে হবে। হাতে পতাকা ধরিয়ে দিয়ে সমাজের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়কে দলে নিয়ে আসতে আমি চাই না। একটু অন্য আঙ্গিকে তাঁদেরকে আমাদের পক্ষে আনতে হবে। বিরোধীদের দিকে আঙুল না তুলে মোদিজির নেতৃত্বে যে সাফল্য, জনহিতকর কাজ সেগুলিকে বেশি করে তুলে ধরতে হবে। গ্রামে গঞ্জে মোদিজির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের যে সাফল্য তার প্রচার সেভাবে হয় না। সেটা করতে হবে শিল্পীদের মাধ্যমে। অরাজনৈতিক মঞ্চের মাধ্যমে বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করে কেন্দ্রীয় সরকারের জনহিতকর কাজ নিয়ে সেমিনার কিংবা বিতর্কের আয়োজন করতে হবে। সরাসরি বিজেপির হয়ে মাঠে নেমে স্লোগান নয়, নতুন আঙ্গিক এটাই হবে। বুদ্ধিজীবীরা নীরবে মোদি সরকারের সাফল্যের প্রচার করবে। তাঁরা জনমত গঠন করবে। আবার বাউল শিল্পীদেরও ময়দানে নামানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনা করায় বাউল শিল্পীদের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে অনুপম হাজরার। অনুপমের কথায়, “শান্তিনিকেতনে আমার অনেক পুরনো বন্ধু আমার রয়েছে। যারা পিএইচডি করেছে। তাঁদের বলেছি মোদিজির সাফল্য নিয়ে গান তৈরি করতে। এই গান গাইবে বাউল শিল্পীরা। লোকাল বা এক্সপ্রেস ট্রেনে বাউলরা গান গাইতে ওঠেন। বাউল গান মানুষ মন দিয়ে শোনে। ট্রেনে মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য নিয়ে গান গাইবে বাউলরা। লক্ষ লক্ষ মানুষের কানে পৌঁছে যাবে সেই কথা। এভাবেই চলবে প্রচার।” এই ধরণের প্রস্তাব বাস্তবায়িত করার দায়িত্ব অনুপম হাজরার কাঁধে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। প্রাক্তন সাংসদ জানালেন, “আমার ভাবনা বি এল সন্তোষজিকে বলেছি। উনি সব কিছু প্রস্তুত করে আমাকে দিল্লিতে যেতে বলেছেন।” বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদকের কথায়, তৃণমূল বা সিপিএমের বুদ্ধিজীবী সংগঠনের থেকে আলাদা হবে বিজেপির এই বুদ্ধিজীবীদের কমিটি। গতে বাঁধা রাজনীতির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না এই বুদ্ধিজীবীরা। তবে বুদ্ধিজীবী কমিটিতে কারা থাকবে সেটাই এখন দেখার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.