স্টাফ রিপোর্টার: রাজ্যের দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের স্কলারশিপের পরিমাণ তিনগুণেরও বেশি বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার৷ শুক্রবার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বিধানসভায় চলতি বছরের বাজেটে এই প্রস্তাব রেখেছেন৷
একাদশ শ্রেণি থেকে স্নাতকোত্তর, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কারিগরি শিক্ষার দুঃস্থ ও মেধাবী পড়ুয়াদের যে স্কলারশিপ দেওয়া হয় তার নাম ‘স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিনস স্কলারশিপ’৷ প্রত্যেক বছর এই খাতে সরকার খরচ করে ৪৫ কোটি৷ এবার ২০০ কোটি টাকা বার্ষিক খরচের প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী৷ ৭৫ শতাংশ নম্বর ও বার্ষিক ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় থাকলে সেই পরিবারের ছাত্র-ছাত্রীদের এই স্কলারশিপ দেওয়া হয়৷ প্রতিমাসে একাদশ-দ্বাদশে ৫০০, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, কারিগরি শিক্ষা এবং ডিগ্রি কোর্সের স্নাতক স্তরে ৭৫০ থেকে ১৫০০ ও স্নাতকোত্তর ছাত্র-ছাত্রীদের ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা দেওয়া হয়৷ অনলাইন অথবা অফ লাইনে আবেদন করা যায়৷ শিক্ষা দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নিয়ম মেনে কিছুদিন পরে দফতর নির্দেশিকা প্রকাশ করবে৷ পড়ুয়াদের স্কলারশিপ কত বাড়ানো হবে তখন জানা যাবে৷
অর্থমন্ত্রী এদিন তাঁর সংক্ষিপ্ত বাজেট ভাষণে বলেন, উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ দিতেই বরাদ্দ বাড়ল৷ দরিদ্র মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা আরও বেশি করে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবে৷ একইসঙ্গে তিনি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-ক্লাসরুম চালুর প্রস্তাব দিয়েছেন৷ দ্বিতীয় প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে৷ অমিত মিত্র বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ও গবেষণার লক্ষ্যে ‘ভারচুয়াল ক্লাসরুম’ ব্যবস্থা করা হবে৷ ক্লাসরুমে হাই-স্পিড ইণ্টারনেট থাকবে৷ থাকবে হাই-এন্ড কম্পিউটার৷ দেশের ও বিশ্বের শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য ছাত্র-ছাত্রীরা জানতে পারবে৷ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে ২০০০ টি ভারচুয়াল ক্লাসরুম হবে৷ রাজ্যের সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে ৭৩২ টি ভারচুয়াল ক্লাসরুম৷ দু’টি প্রকল্পেরই দায়িত্বে থাকবে শিক্ষা দফতর৷ এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভারচুয়াল ক্লাসরুম ব্যবস্থা দেখভাল করার জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়া হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.