Advertisement
Advertisement

মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন ৩৫ লক্ষ টাকা, সাহায্যের আশায় অসহায় বাবা-মা

অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন না করলে প্রাণ সংশয় আট বছরের ঐশিকার৷

Thalassemia victim’s father pleads for help in Burdwan

ছবি: মুকলেশুর রহমান

Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:August 20, 2018 1:49 pm
  • Updated:August 20, 2018 6:29 pm  

সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বছর আটেকের ফুটফুটে একটা মেয়ে৷ একটু আদর করলেই খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে৷ কিন্তু, বাঁচবে তো সে? রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে বাবা-মায়ের৷ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে সাহায্য এসেছে৷ কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় তা কিছুই নয়৷ মেয়েকে বাঁচাতে এখন শুভানুধ্যায়ীরাই ভরসা মা-বাবার৷ এদিকে আবার মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে চাকরি খুঁইয়েছেন বাবা৷

[ ব্যর্থ প্রচেষ্টা, মল্লিকার কিডনি বাঁচাতে পারল না মৌমিতার প্রাণ]

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাসিন্দা তরুণ কুমার ঘোষ৷ একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি৷ তাঁর একমাত্র মেয়ে ঐশিকা৷ বয়স মোটে আট বছর৷ থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে৷ নাহলে বাঁচানো যাবে ঐশিকাকে৷ খরচ প্রায় কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ টাকা! এত টাকা কোথায় পাবেন! মাথায় হাত ঐশিকার মা-বাবার৷ শিশুটির বাবা তরুণ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, ঐশিকার বয়স যখন মাত্র তিনদিন, তখন থেকে অসুস্থতার সূত্রপাত্র৷ নানা জায়গায় মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন তিনি৷ জানা যায়, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ছোট্ট ঐশিকা৷ সেই থেকে নিয়ম করে মাসে দু’বার রক্ত বদল, ওষুধ, সবই চলছে৷ সাধ্যের বাইরে গিয়েও মেয়ের চিকিৎসা চালিয়ে গিয়েছেন তরুণবাবু৷ অসুস্থতাকে সঙ্গী করে বড় হয়েছে ঐশিকা৷ স্কুলে ভরতি হয়েছে সে৷ কিন্তু, শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি৷ বরং বয়স যত বেড়েছে, পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অসুস্থতাও৷ ঐশিকাকে ভেলোরে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা৷ এখন কলকাতার নিউটাউনের টাটা সেন্টারে ভরতি সে৷

কয়েক মাস আগে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হবে৷ নাহলে বাঁচানো যাবে না ঐশিকাকে৷ খরচ পড়বে কমপক্ষে ৩৫ লক্ষ টাকা৷ একটি বেসরকারি সংস্থায় সামান্য চাকরি করতেন ঐশিকার বাবা তরুণ কুমার ঘোষ৷ কিন্তু মেয়েকে নিয়ে ছোটাছুটি করতে গিয়ে চাকরিটাও গিয়েছে৷ তার উপর এত ব্যয়বহুল চিকিৎসা! দিশেহারা অবস্থা তরুণবাবুরও৷ স্রেফ টাকার অভাবে দু’বাব অপারেশনের দিন পিছিয়ে দিতে হয়েছে৷  তরুণ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, যেটুকু টাকা জমানো ছিল, মেয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সবটুকু খরচ করে ফেলেছেন৷ প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর তহবিল থেকে মোট ৪ লক্ষ টাকা পেয়েছেন তিনি৷ এদিক-সেদিক থেকে আরও ৭ লক্ষ টাকা জোগাড় হয়েছে৷ কিন্তু, এখনও ঐশিকার স্টেম সেল ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন জন্য প্রয়োজন কম করে আরও ২৪ লক্ষ টাকা৷ তরুণবাবু কাতর আরজি, ‘কোনও সুহৃদ ব্যক্তি যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে মেয়েকে বাঁচাতে পারব। না হলে জানি না কী হবে।’ সোশ্যাল মিডিয়াতেও সাহায্য চেয়ে আবেদন করেছেন তিনি৷  চাইলে সাহায্য করতে পারেন আপনিও৷ 

Tarun kumar Ghosh,

Bank of India, Jaugram branch.

Account number – 420410110000457,  IFSC Code- BKID0004204 .
 Mobile no- 8967694830.

 

[ মল্লিকার পরিবারের লড়াই এখন অঙ্গদানের প্রচারের মুখ, উদ্বুদ্ধ করতে আগ্রহী স্বাস্থ্যমহল]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement