সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ শুরু হতেই উত্তপ্ত দার্জিলিং লোকসভার অন্তর্গত চোপড়া৷ সেখানকার একাধিক বুথে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখিয়ে চোপড়ার নৈনিতাল কলোনি বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন ভোটাররা৷ পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি সমর্থকরা৷ ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
[ আরও পড়ুন: লোকসভা ভোট Live: শুরুতেই অশান্তি চোপড়ায়, মহিলাদের ‘মারধর’-ভোটদানে ‘বাধা’ ]
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে ভোট দিতে গেলে সেখানকার ১৮০ নম্বর বুথে প্রথমে ভোটারদের বাধা দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ অভিযোগ, কেড়ে নেওয়া হয় ভোটার স্লিপ, মারধর করা হয় মহিলাদের, বৃদ্ধদের ভয় দেখিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ এরপরই পুলিশের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ভোটার এবং বিজেপি সমর্থকরা৷ পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে নৈনিতাল কলোনি বাসস্ট্যান্ডে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা৷ পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে ভোটারদের৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে সেখানে আসে বিশাল পুলিশবাহিনী৷ ভোটারদের আশ্বাস দিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তাঁরা৷ কিন্তু ভোটারদের বক্তব্য, সকাল থেকে তাঁদের মারধর করা হয়েছে৷ বুথের দখল নিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা৷ ফলে তাঁরা আর ভোট দেবেন না৷ তাঁরা নির্বাচন বয়কট করবেন৷ এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী, ব়্যাফ নামানো হয় প্রশাসনের তরফ থেকে। ব়্যাফের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জের অভিযোগ।
কেবল চোপড়াই নয়, একই চিত্র ধরা পড়েছে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোয়ালপোখরের মধ্য ফুলবাড়ির সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে৷ সেখানকার শ্রীপুর বুথে ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ একই অভিযোগ উঠেছে গোয়ালপোখরের গতি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬৬/৩০৪ নম্বর বুথে৷ সেখানে ভোটারদের ধাক্কা দিয়ে লাইন থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানির ভাই গোলাম রসুলের নেতৃত্বে সেখানে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব৷
[ আরও পড়ুন: কৃষ্ণনগরে রাম নবমী উপলক্ষে অস্ত্র মিছিল, পা মেলালেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে ]
দার্জিলিং লোকসভার অন্তর্গত মালবাজারের কুমলাই গ্রামেও বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ বুধবার গভীর রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই কাজ করে বলে বিজেপির অভিযোগ৷ অভিযোগ করেছেন বিজেপির ব্লক সভাপতি পঙ্কজ তেওয়ারি৷ যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রাজা শর্মা৷ অন্যদিকে ফোন কানে বুথে ঢুকে বিতর্কে জড়ালেন জাপ নেতা হরকা বাহাদুর ছেত্রী৷ যদিও নিজের এই কাজের জন্য সাফাইও দিয়েছেন তিনি৷ জানিয়েছেন, ‘‘নিয়ম জানা ছিল না৷ কেউ আপত্তি করেনি৷’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.