Advertisement
Advertisement
Rajib Banerjee

‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, রাজীবদাই ভরসা’, রাতের অন্ধকারে ডোমজুড়ে পোস্টার-ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য

কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা কমিটির?

Domjur: tension arose over Posters of TMC leader Rajib Banerjee | Sangbad Pratidin
Published by: Sulaya Singha
  • Posted:December 13, 2020 1:31 pm
  • Updated:December 13, 2020 2:19 pm  

সুব্রত বিশ্বাস: এবার রাজীবের গড় ডোমজুড় কেন্দ্রের সর্বত্র পোস্টার পড়ল রাতের অন্ধকারে। শুক্রবার হুগলির একটি পুরোহিতদের সভায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) বক্তব্য ঘিরে সন্দেহের আভাস উঠে আসে। ঠাকুরের বাণী নিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাজ করতে যে কোনও পথ নেওয়া যেতে পারে। এরপর রবিবার দলীয় নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেয়। বৈঠকের আগে শনিবার তাঁর কেন্দ্র ডোমজুড়ের বিভিন্ন এলাকা পোস্টার, ব্যানার, হোর্ডিংয়ে ছেয়ে যায়।

Advertisement

‘আমরা-রাজীব-পরিবারে’র পক্ষ থেকে একাধিক রংবেরঙের পোস্টারে লেখা হয়েছে, ‘শিশু মহিলা বৃদ্ধ যুবক, রাজীবদাকেই চায় যে সেবক।’ ‘অপরিচিত দপ্তরগুলো আজ তোমায় সেলাম ঠুকে, রাজীব নাম লিখে ফেলেছে, তাঁরা নিজেদেরই বুকে।’ ‘শীত গ্রীষ্ম বর্ষা রাজীবদাই ভরসা।’ ‘অসহায় নিপীড়িত মানুষের শক্তি রাজীবদার মতো ব্যক্তি।’ কঠোর শ্রমের মূল্যবোধ রাজীব নামেই হবে পরিশোধ।’ এমনই নানা স্লোগান দিয়ে তৈরি হয়েছে পোস্টার। বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের পোস্টারে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষের কাছে ভরসা যোগ্য করে তোলার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি অপরিচিত দপ্তরে তাঁর যে প্রাধান্য রয়েছে তাও বোঝানো হয়েছে।

[আরও পড়ুন: রক্তচাপ স্বাভাবিক, বলছেন কথা, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি]

মন্ত্রিত্বে থেকেও রাজীবের নামে এই পোস্টার ঘিরে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটি এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। জেলা সভাপতি লক্ষ্মীরতন শুক্লা বলেন, ”এ নিয়ে কিছু বলব না।” দলের পক্ষ থেকে কিছু না বলা হলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কারণ তিনি নিজের কেন্দ্রে যথেষ্ট জনপ্রিয়। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী বাছাই নিয়ে জেলা সভাপতি অরূপ রায়ের সঙ্গে মত পার্থক্য দেখা দেয়। এরপর রাজীবকে সেচ দপ্তর থেকে সরানো হয়। পরে বন দপ্তরের দায়িত্বে আনা হলেও রাজীব মানবিকভাবে হীনমন্যতায় ভুগতে থাকেন বলে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের মত।

এরপরেও রাজীব নদীয়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তরবঙ্গের একাধিক দায়িত্ব ও নির্বাচনী কৌশল সাজিয়েছিলেন দক্ষতার সঙ্গে। নিজের কেন্দ্র ডোমজুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ করেও দলের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ হতে পারেননি বলে তাঁর ঘনিষ্টজনের মত। এই নিয়েই কি ক্রমশ রাজীব বেসুরো হয়ে উঠেছিলেন? এবার দেখার পালা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কোন পদক্ষেপ করেন।

[আরও পড়ুন: দলবিরোধী কাজের অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুরের শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতাকে বহিষ্কার তৃণমূলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement