Advertisement
Advertisement
Hooghly Chinsurah Municipality

মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট, বড়দিনের আগেই বেতন হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের

২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই চুঁচুড়া শহরের আর্বজনা পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

Temporary employees of Hooghly-Chinsurah Municipality will get their salary by Tuesday
Published by: Subhankar Patra
  • Posted:December 20, 2024 5:24 pm
  • Updated:December 20, 2024 5:42 pm  

সুমন করাতি, হুগলি: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট। আগামী চারদিনের মধ্যে দুমাসের বকেয়া বেতন পাবেন চুঁচুড়া-হুগলি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। যার ফলে কুড়ি দিন ধরে চলা আন্দোলনে দাঁড়ি পড়ল শুক্রবার। রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া তিন কোটি লোনের টাকায় বাকি বেতন মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর, অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিমের তৎপরতায় জট কাটায় খুশি অস্থায়ী কর্মীরা। ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যেই চুঁচুড়া শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মীরা।

বিগত দুই মাসের বেতন না পেয়ে আন্দোলন শুরু করেন অস্থায়ী কর্মীরা। ব্যাহত হয় পুর পরিষেবা। শহরের একাধিক এলাকায় আবর্জনার স্তূপ জমে যায়। জট কাটাতে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করে। সমস্যা সমাধানের জন্য চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিধায়ক অসিতবাবু পুরপ্রধান অমিত রায় এবং অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্থানীয় স্তরে আলোচনা করেন। এরপর অস্থায়ী কর্মচারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে একটি সমাধান সূত্র বার করা হয়।

Advertisement

বিধায়ক অসিত মজুমদার বৈঠক শেষে জানান, অস্থায়ী কর্মচারীদের বকেয়া বেতন মেটানোর জন্য তিন কোটি টাকা লোন মঞ্জুর করা হয়েছে। এই অর্থের সাহায্যে কর্মচারীদের বকেয়া বেতন দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে এই ধরনের সমস্যার পুনরাবৃত্তি এড়াতে পুরসভার আয়ের উৎস বৃদ্ধি এবং অন্যান্য কর্মপন্থার বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। বিধায়ক বলেন, “হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের মাসে বেতন দিতে দেড় কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ পুরসভার আয় ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। বাকি টাকার সংস্থান করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছিল। অস্থায়ী কর্মচারীদের সঙ্গে আমরা সহমর্মী। ওঁদেরও সংসার আছে। কিন্তু জেলা সদর শহর এভাবে আবর্জনা ভরে থাকতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস ফোন করেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। সুডার আধিকারিক জলি চৌধুরীকেও পাঠান।”

চেয়ারম্যান অমিত রায়ের কথায়, “পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে তাই বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। আমরা ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি দুমাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আগামী মাসের বেতনের ব্যবস্থা পুরসভাকেই করতে হবে। কীভাবে আয় বাড়ানো যায় তার জন্য আমরা আলোচনা করছি।” অস্থায়ী কর্মী অসীম অধিকারী জানান, “আমাদের সমস্যা মেটানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। বড়দিনের আগে আমরা শহরকে জঞ্জাল মুক্ত করব।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement