বিক্রম রায়, কোচবিহার: ছট পুজোয় সাঁকো ভেঙে দুর্ঘটনা কোচবিহারের তোর্সা নদীতে। হতাহতের কোনও খবর না থাকলেও, দুর্ঘটনার জেরে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। তোর্সার দু’পাড়ে আটকে থাকা মানুষজনকে বাড়তি নৌকায় করে পারাপার করানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীদের তত্বাবধানে। ঘটনায় পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে।
কোচবিহার শহরের মূল ছট পুজোটি হয় তোর্সার দু ধারে। একদিকে ফাঁসিঘাট, আরেকদিকে মাশান ঘাট। মাঝে সংযোগের জন প্রতি বছরই অস্থায়ী সেতু তৈরি করা হয় কোচবিহার পুরসভার তরফে। এবছরও একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পুরসভা। সেই সাঁকো দিয়ে নদীর এপার থেকে ওপারে যাতায়াত করছিলেন ছট পুজোয় অংশগ্রহণকারী মানুষজন। বিকেল তখন প্রায় পৌনে পাঁচটা। সেতুর উপর অতিরিক্ত লোকজন পারাপার করায় আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে সাঁকোটি। আচমকাই তা মাঝনদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। নদীতে পড়ে যান অন্তত ৭০ জন।
পুজো উপলক্ষে নিরাপত্তারক্ষীরা এলাকায় মোতায়েন ছিলেন। দুর্ঘটনার পর তাঁরাই ছুটে যান। পৌঁছে যায় কোতয়ালি থানার পুলিশও। তড়িঘড়ি নদীতে নেমে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। সকলকেই নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও, ২জন শিশু-সহ ৪ জন স্রোতে ভেসে যাচ্ছিলেন। তবে নিরাপত্তারক্ষীদের দক্ষতা ও তৎপরতায় তাঁদেরও উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর থেকে এলাকায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পুজো যাঁরা দিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। সন্ধে পর্যন্তও তোর্সার একদিকে হাজার দশেক মানুষ জমায়েত রয়েছেন। তাঁদের নৌকায় করে পারাপার করানো হচ্ছে। যাতে পুজোর বাকিটা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে, তার জন্য সদা সচেষ্ট পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীরা।
এই সাঁকো তৈরির দায়িত্ব মূলত পুরসভার উপর। তাই দুর্ঘটনার পর কোচবিহার পুরসভার বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। কেন অস্থায়ী সাঁকো তৈরিতে নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এনিয়ে পুর আধিকারিকরা মুখ না খুললেও, কেন সাঁকো ভেঙে পড়ল, তা খতিয়ে দেখা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
ছবি: দেবাশিস বিশ্বাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.