Advertisement
Advertisement

দুই মন্দির থেকে ৭০ ভরি গয়না চুরি, অপসারিত ওসি

ধুন্ধুমার কাণ্ড বীরভূমের সদাইপুরে।

Temple looted in Birbhum
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:November 8, 2018 3:39 pm
  • Updated:November 8, 2018 3:39 pm  

নন্দন দত্ত, সিউড়ি: প্রায় সত্তর ভরি গয়না ছিল বিগ্রহের গায়ে। মানত পূরণ হওয়ায় দেবীকে গয়না দিয়েছিলেন ভক্তেরাই। খোদ ওসির আশ্বাসে রাতে সকলেই ঘুমিয়ে চলে গিয়েছিলেন। সকালে দেখা গেল, মূর্তির গয়না উধাও! মন্দির সামনে পুলিশও নেই। ধু্ন্ধুমার কাণ্ড বীরভূমের সদাইপুরে। ঘটনার প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন মহিলারা। ওসি-সহ থানার অন্যন্য পুলিশকর্মীদের ক্লাবঘরে আটকে রেখে চলল বিক্ষোভ। সদাইপুর থানার ওসিকে অপসারণ করতে কার্যত বাধ্য হলেন বীরভূমের পুলিশ সুপার। শুধু তাই নয়, স্থানীয় বাসিন্দাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মন্দিরের গয়না উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। সাসপেন্ড মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই সিভিক ভলান্টিয়ারও।

[মণ্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় সামলে প্রসূতিকে সাহায্য, পুরস্কৃত সিভিক ভলান্টিয়ার]

Advertisement

বীরভূমের সদাইপুরের চিম্পাই গ্রামের বড় কালী মা ও ছোট কালী মা গ্রাম্যদেবী হিসেবেই পরিচিত। দুটি মন্দির প্রায় পাঁচশো বছরের পুরনো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুই দেবীকে মনস্কামনা জানিয়ে কালীপুজোর সময়ে গয়না দেওয়ার মানত করেন অনেকেই। এবছর দীপাবলিতে বড় কালী মা ও ছোট কালী মাকে প্রায় সত্তর ভরি গয়না দিয়ে সাজিয়েছিলেন ভক্তেরা।স্বাভাবিক কারণেই মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন গ্রামবাসীরা। মন্দিরে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করেছিল সদাইপুর থানার পুলিশ। কিন্তু, তাতেও নিশ্চিন্ত হতে পারেননি স্থানীয় বাসিন্দারা। গ্রামবাসীদের দাবি, রাতে মন্দির পাহারা দিতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু খোদ সদাইপুর থানার ওসি মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে আশস্ত করেছিলেন। কিন্তু, শেষপর্যন্ত গ্রামবাসীদের আশঙ্কাই সত্যি হল!

বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন, বড় কালী ও ছোট কালী মা-র বিগ্রহে একটিও গয়না নেই! মন্দিরের আশেপাশে সিভিক ভলান্টিয়ার, এমনকী, পুলিশকর্মীদেরও দেখা যায়নি। ক্ষোভে ফেটে পড়েন সদাইপুরের চিম্পাই গ্রামের বাসিন্দারা। মন্দিরে চুরির প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন গ্রামের মহিলারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছলে, সদাইপুর থানার ওসি-সহ অন্য পুলিশকর্মীদের ক্নাবঘরে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে যে, আশেপাশের কয়েকটি থানার ওসিকে ঘটনাস্থলে যান বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল। ছিলেন ডিএসপি পদমর্যাদার দুই পুলিশ আধিকারিকও। রীতিমতো মাইকিং করে বিক্ষোভকারীদের শান্তি হওয়ার অনুরোধ করে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গয়না উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার। সরিয়ে দেওয়া হয়ে্ছে সদাইপুর থানার ওসি ও মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকেও।

ছবি: বাসুদেব ঘোষ

[ শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ, কিশোরীকে কামড় প্রতিবেশী মহিলার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement