নব্যেন্দু হাজরা: মকর সংক্রান্তিতে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে পুণ্যস্নান। যদিও কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দিকে দিকে পুণ্যার্থীর সংখ্যা কিছুটা কম।পিঠেপুলি তৈরিতে ব্যস্ত প্রায় প্রত্যেক গৃহিণী। কিন্তু চলতি বছর মকর সংক্রান্তিতে শীত সেভাবে জমিয়ে পড়েনি বলেই আক্ষেপ শীতবিলাসীদের। অন্যান্য বছরের তুলনায় কম শীতের কামড়। পৌষের অকালবর্ষণে ভিজতে পারে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত।
শুক্রবার সকাল থেকেই মুখভার আকাশের। দাপট রয়েছে কুয়াশারও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৬ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় ০.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজ দিনভর আকাশ মেঘলা থাকার সম্ভাবনা। হতে পারে বৃষ্টিও। শুধু কলকাতাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাই এদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভেজার আশঙ্কা রয়েছে। পৌষের শেষের বৃষ্টির সাক্ষী হতে পারে উত্তরবঙ্গও। দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টির সম্ভাবনা।তবে মালদহ, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে রোদের দেখা না মিললেও বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। আগামী রবিবার থেকে আবহাওয়া পরিবর্তনের সম্ভাবনা।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, একের পর এক পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বাধা পাচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। বঙ্গোপসাগরে প্রচুর জলীয় বাষ্পও তৈরি হচ্ছে। আর সে কারণেই বঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে তাপমাত্রার পারদ পতন কতটা হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। আবারও কি জাঁকিয়ে শীতের দেখা মিলবে, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে এ বিষয়ে শীতবিলাসীদের এখনই কোনও আশার বাণী শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস।
উল্লেখ্য, চলতি মরশুমের শুরুর দিকে ভালই ব্যাটিং করেছিল শীত। একধাক্কায় অনেকটাই হয়েছিল তাপমাত্রার পারদপতন। তবে বড়দিনের আগে থেকেই শীত কার্যত উধাও।গত বছর বেশ উষ্ণ বড়দিনের সাক্ষী ছিলেন বঙ্গবাসী। বছরের শুরু থেকে প্রায় দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও জাঁকিয়ে শীতের দেখা মেলেনি। আবার যে কবে জাঁকিয়ে শীতের দেখা পাওয়া যাবে, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.