রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার এক বছর পরও রহস্য উন্মোচন না হওয়ায় ক্ষোভ শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার সুদীপের বোন ঝুম্পাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এখনও না দেওয়াতে ক্ষুব্ধ সুদীপের পরিবারের।
গত বছর বাড়ি থেকে ছুটি শেষ করে পলাশীপাড়া থানার হাঁসপুকুরিয়ার বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস তাঁর কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান মারা যান। তার মধ্যে নদীয়ার সুদীপ ও হাওড়ার বাবলু সাঁতরা ছিলেন। এই ঘটনার পরে হাঁসপুকুরিয়া গ্রামে অনেক মন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতা, বড় বড় অফিসার সুদীপের বাড়িতে এসেছিলেন। তখন সবাই সুদীপের পরিবারকে নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার মধ্যে ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি, এই জঙ্গি হামলার সঠিক তদন্ত করা হবে। এক বছর পেরিয়ে গেলেও এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে কি হয়নি তাই জানে না সুদীপের পরিবার।
তারা এও জানে না যে, বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ির মালিক কে ছিল। তাও কেন্দ্র সরকার এক বছরে বলতে পারল না বলে ক্ষোভ এলাকাবাসীর এবং সুদীপের পরিবারের। সেই সময় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সুদীপের বোন ঝুম্পা বিশ্বাসকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এক বছর হয়ে গেলেও তাও তা পূরণ না হওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন ঝুম্পা। সুদীপের প্রতিবেশী ও হাঁসপুকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা বরুণ সিনহা বলেন, কেন্দ্র সরকার এক বছরের মধ্যেও জানাতে পারল না যে গাড়িটি কোথাকার। কেন্দ্রের এত বড় বড় এজেন্সি আছে যে, তারা এক বছরের মধ্যে রহস্য উন্মোচন করতে পারল না এটা কী করে সম্ভব। এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সুদীপের বাবা সন্ন্যাসী বিশ্বাস বলেন, ‘জঙ্গি হামলার পরে সরকার বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক করেছে। সেইজন্য সরকারকে ধন্যবাদ। কিন্তু এক বছর হয়ে গেল তবু কী করে নিরাপত্তার ফাঁক গলে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি জওয়ানদের কনভয়ে ঢুকে পড়ল সেই রহস্য আজ পর্যন্ত উন্মোচন হল না। আমি চাই খুব তাড়াতাড়ি এই রহস্য সকলের সামনে আসুক।’ সুদীপের বোন ঝুম্পা বিশ্বাস বলেন, ‘এক বছর হয়ে গেল রাজ্য সরকার আমাকে চাকরি দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখানও পর্যন্ত হল না। আমার সব কাগজ জমা নিলেও এখানA সেই অন্ধকারে আছি।’ রাজ্য সরকারও প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা রাখল না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঝুম্পা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.