গ্রাফিক্স: সুলগ্না ঘোষ।
বাবুল হক, মালদহ: সোশাল মিডিয়ার (Social media) সৌজন্যে ‘প্রেম’। বিয়ের স্বপ্ন দেখা। আর বিয়ের টানেই মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রেন ধরে মালদহের প্রেমিকের কাছে ছুটে গিয়েছিল টালিগঞ্জের (Tollygaunj)মেয়ে। সেটা ছিল ভ্যালেন্টাইনস ডে। টালিগঞ্জের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পালিয়ে আসে ওল্ড মালদহের বলাতুলি গ্রামে। প্রেমিক আবার বিবাহিত এবং দুই সন্তানের বাবা। তাকেই বিয়ে করেছিল কিশোরী। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। সোশাল মিডিয়ার সূত্র ধরেই মালদহ ও কলকাতা পুলিশের যৌথ উদ্যোগে উদ্ধার করা হয়েছে কিশোরীকে। কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে তার প্রেমিক।
এই ঘটনা ঘিরে শনিবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরাতন মালদহে (Malda)। পুলিশ জানিয়েছে, তিন বছর আগে ফেসবুকের (Facebook) মাধ্যমে পরিচয় হয় দুজনের। তখন মেয়েটি ছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি কলকাতার টালিগঞ্জে। আর ছেলেটি বিবাহিত। দুই সন্তানের বাবা। বাড়িতে স্ত্রীও রয়েছেন। সেই বাড়ি থেকেই জেলা পুলিশের সাহায্য নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। ধৃত তেত্রিশের যুবক বিশ্বজিৎ বর্মনকে এদিন মালদহ আদালতে তোলার পর ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতা (Kolkata) নিয়ে যাওয়া হয়।
মেয়েটি এবারই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই বিশ্বজিতের ডাকে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসে। মেয়েটি জানত না বিশ্বজিত বিবাহিত। তার স্ত্রী, সন্তান রয়েছে। এখানে এসে সে জানতে পারে। কিন্তু তাকে জোর করে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, মেয়ের খোঁজ না পেয়ে কলকাতা পুলিশের দারস্থ হয় মেয়েটির পরিবার। শুরু হয় তদন্ত। কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী আধিকারিকরা মেয়েটির ফেসবুক প্রোফাইল খতিয়ে দেখেন। সেই সূত্রেই কলকাতা পুলিশ ছুটে আসে মালদহে। খোঁজ শুরু হয় বিশ্বজিৎ বর্মনের। পুলিশ জানতে পারে, পেশায় চাষি বিশ্বজিতের বাড়ি মঙ্গলবাড়ি এলাকার বলাতুলি গ্রামে। তার বাড়িতে হানা দিতেই মেয়েটিকে পাওয়া যায়। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানিয়েছেন, মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। ধৃত ব্যক্তিকে কলকাতা পুলিশের হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
যে সূত্রে পালিয়ে আসা সেই ফেসবুক-সূত্র ধরেই মালদহে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। নাবালিকাকে অপহরণ করে বাড়িতে আটকে রাখার অভিযোগে মালদহের দুই সন্তানের বাবা সেই ‘প্রেমিক’কে গ্রেপ্তার করে নিয়ে গেল কলকাতা পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.