ছবি: প্রতীকী
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: নাবালক-নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ (Hanging Deadbody) উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে। শনিবার গলসির (Galsi) জাগুলিপাড়ায় দেবা বাউড়ি ওরফে শুভঙ্কর ও পূর্ণিমা ক্ষেত্রপালের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোর-কিশোরী। তবে ঘটনার পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জানা যাচ্ছে, ওই দু’জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু নাবালিকার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই অভিমানে সে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রামগোপালপুর হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল পূর্ণিমা। বছর পনেরোর মেয়েটির বাড়ি বর্ধমানের (Burdwan) পালিতপুরে। কিন্তু সে থাকত, জাগুলিপাড়ায় মামারবাড়িতে। কিছুদিন আগে বুদবুদ থানার ভরতপুর গ্রামের সঞ্জয় বাউড়ির ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় পূর্ণিমার। সঞ্জয়বাবু জানান, গত ৩ আগস্ট পূর্ণিমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর ছেলের। কয়েকদিন আগে মামারবাড়ি বেড়াতে যায় পূর্ণিমা।
শনিবারই শ্বশুরবাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই মর্মান্তিক পরিণতি। বউমার সঙ্গে কারও সম্পর্ক ছিল কি না, তাঁরা তা জানতেন না বলেই দাবি করেন সঞ্জয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মামার বাড়ির পাড়ারই ছেলে দেবার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল পূর্ণিমার। দেবা ওরফে শুভঙ্করের বয়স ১৭ বছর। তা সত্ত্বেও অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হয়েছিল তার। বিয়ের পর প্রথমবার মামার বাড়ি আসে কয়েকদিন আগে। আর তাতেই চরম পরিণতি।
পূর্ণিমার এক আত্মীয় সুমন বাউড়ি জানান, শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত দেবার সঙ্গে গল্প করেছে মেয়ে। এদিন সকালে খবর পান, দু’জনে দেবার বাড়িতে বাঁশের কাঠামোয় গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে। খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। উদ্ধার করে পুরষায় ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিন রাত পর্যন্ত পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে, পূর্ণিমা নাবালিকা হওয়া সত্ত্বেও কীভাবে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.