চন্দ্রজিৎ মজুমদার, কান্দি: মামুলি গ্রাম্য বিবাদে চলল গুলি৷ গুরুতর জখম এক স্কুলপড়ুয়া৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের গুন্দুরিয়া গ্রামে৷ গুলিবিদ্ধ ওই কিশোরের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক৷ হাসপাতালের বেডে শুয়ে আপাতত মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে সে৷
কার জমি দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়েই গ্রাম্য বিবাদ বাঁধে শুক্রবার৷ সেদিন দুপুর থেকে স্থানীয় প্রাণকৃষ্ণ পাল, বামাচরণ পাল, মিনু পাল এবং নীলমাধব পালের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়াঝাটি৷ নীলমাধবের দাবি, প্রাণকৃষ্ণ, বামাচরণ এবং মিনুর জমির উপর দিয়ে যাবে ট্রাক্টর৷ কিন্তু নীলমাধবের দাবি মানতে নারাজ অন্যান্যরা৷ সেই বচসাকে কেন্দ্র করেই শনিবারে তুলকালাম বাধে গোটা এলাকায়৷ এদিন সকাল থেকে আবারও তুমুল বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের৷ অভিযোগ, বচসা চলাকালীন প্রাণকৃষ্ণ-সহ মোট তিনজন নীলমাধবকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়৷ সেই সময় ঘটনাস্থলেই ছিল রাহুল পাল নামে এক কিশোর৷ গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ওই কিশোরের পেটে লাগে৷ গুলির শব্দে হতচকিত হয়ে যান স্থানীয়রা৷ ততক্ষণে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে রাহুল৷ রক্তে ভেসে যাচ্ছে তার শরীর৷ ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসীই রাহুলকে উদ্ধার করেন৷ গুন্দুরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রাহুলকে প্রথমে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয় তার৷ তবে ক্রমশই শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় রাহুলকে৷ চিকিৎসকেরা জানান, এখনও সংকটমুক্ত নয় ওই স্কুলপড়ুয়া৷
এই ঘটনার পর থেকে থমথমে গোটা গুন্দুরিয়া গ্রাম৷ অন্যের বিবাদের মাঝে পড়ে গিয়ে ছেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর থেকে কার্যত বাকরূদ্ধ রাহুলের পরিবার৷ ছেলের সংকটজনক অবস্থা ক্রমশই দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে পরিজনদের৷ ভরতপুর থানায় ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে৷ যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত প্রাণকৃষ্ণ-সহ মোট তিনজন৷ গা ঢাকা দিয়েছে নীলমাধবও৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.