Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ketugram

ধর্ষণ করে খুন? গৃহকর্তার বাড়ি থেকে নাবালিকা পরিচারিকার দেহ উদ্ধারে কেতুগ্রামে উত্তেজনা

গত দুদিন ধরে নাবালিকার কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।

Teen servant allegedly killed in Ketugram

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sayani Sen
  • Posted:March 20, 2024 8:39 pm
  • Updated:March 20, 2024 8:39 pm  

ধীমান রায়, কাটোয়া: বাবা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর মায়ের সঙ্গে মামাবাড়িতে আশ্রয় নেয় মেয়েটি। মামারাও গরিব। তাই পেট চালাতে মায়ের পাশাপাশি ১০ বছরের মেয়েটিও পরিচারিকার কাজ করত। কয়েকদিন ধরে গৃহস্থবাড়িতেই থাকতে হচ্ছিল মেয়েটিকে। ফোনে মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ হত। কিন্তু গত সোমবার থেকে হঠাৎ ওই বাড়ি থেকে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায় মেয়েটি। কিছুতেই তার হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে মনিবের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চিলেকোঠার ঘর থেকে দশ বছরের নাবালিকার মৃতদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়াই। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম থানার সুলতানপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই নাবালিকার দেহ।

অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুনের পর চিলেকোটার ঘরে মৃতদেহ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সুযোগ বুঝে কোথাও পাচার করে দেওয়া হত। দেহ উদ্ধারের পরেই গ্রামবাসীরা ওই বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এই ঘটনায় পুলিশ পিয়েল শেখ নামে এক যুবক এবং তার মা রুবি বিবিকে আটক করেছে। যদিও কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তদন্ত চলছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: শান্তনু গাঁজাখোর, ভোট দেবেন না! কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ দলেরই বিধায়কের, ভাইরাল অডিও]

কেতুগ্রামের রাইখাঁ গ্রামে মামাবাড়িতে থাকত ১০ বছরের নাবালিকা। তার জন্মের কয়েকমাসের মধ্যেই মেয়েটির বাবা তার মাকে ছেড়ে চলে যান। শিশুকন্যাকে নিয়ে মহিলা রাইখাঁ গ্রামে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন।পরিচারিকার কাজে লাগেন। বছরখানেক আগে থেকেই নাবালিকাও তার মায়ের মতো পরিচারিকার কাজ শুরু করে। সুলতানপুর গ্রামে জালাল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নাবালিকাকে কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়। জালাল শেখের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলে। তার মধ্যে বড় ছেলে জুয়েল বিবাহিত। ছোট ছেলে পিয়েল (২৪)অবিবাহিত। নাবালিকার এক আত্মীয় জানান, আগে সুলতানপুর যাতায়াত করত। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে রুবি বিবি ওকে বাড়িতে আসতে দিত না। ওদের বাড়িতেই থাকতে হত। গত শুক্রবার মেয়েটি রাইখাঁ গ্রামে আসার পর ওকে আবার নিয়ে চলে যায়। এর পর সোমবার থেকে হদিশ পাওয়া যাচ্ছিল না।

জালাল শেখের বাড়িতে বারবার জিজ্ঞাসা করলেও ওরা বলছিল, “মেয়েটি তো বাড়ি চলে গিয়েছে।” বুধবার সন্ধ্যার মুখে রাইখাঁ গ্রাম থেকে বেশকিছু লোকজন জালাল শেখের বাড়িতে যান। তারা জালাল ও রুবি বিবিকে চেপে ধরেন। চেপে ধরা হয় ছোট ছেলে পিয়েল শেখকে। তখন পিয়েল স্বীকার করে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে চিলেকোঠার ঘরে দেহটি রাখা আছে। গ্রামবাসীরা গিয়ে জালাল শেখের চিলেকোঠার ঘর থেকে নাবালিকার নিথর দেহ উদ্ধার করে। এর পর ওই পরিবারের লোকজন পালানোর চেষ্টা করলে পিয়েল শেখ ও রুবি বিবিকে আটক করে ফেলেন গ্রামবাসীরা। তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

[আরও পড়ুন: আচমকা বুকে ব্যথা, হাসপাতালে ভর্তি সব্যসাচী চক্রবর্তী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement