বাবুল হক, মালদহ: বর্ধমানের বাসিন্দা এক যুগলের দেহ উদ্ধার হল মালদহের নিমাইসরাই থেকে। বৃহস্পতিবার সকালে নিমাইসরাই লাগোয়া রেলের ডিজেল শেড এলাকার একটি জঙ্গলের গাছে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। ইংরেজবাজার থানার পুলিশ গিয়ে দেহ দুটি উদ্ধার করে। মৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পরিচয়পত্র ও ট্রেনের টিকিট ও একটি খাতা। ঘটনাটি আত্মহত্যা নাকি খুন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে নিমাইসরাই এলাকার একটি জঙ্গলে এক যুবক ও যুবতীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। স্থানীয়রা তাঁদের সম্পর্কে সঠিক কোনও তথ্য দিতে না পারায় মৃতদের ব্যাগে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে ওই যুবক ও যুবতীর সচিত্র পরিচয়পত্র। মিলেছে ট্রেনের টিকিট, বই ও একটি খাতা।
জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম প্রকাশ হাজরা (১৯), যুবতী টিনা (১৮) ঘোষ। দুজনেই বর্ধমানের মন্তেশ্বর থানার কুসুমগ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, খাতায় লেখা ছিল তাঁদের বাড়ির ঠিকানা এবং একটি মোবাইল নম্বর। সেখানেই উল্লেখ করা ছিল দু’জনের দেহ যেন তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, প্রেমের সম্পর্ক ছিল ওই যুগলের। পরিবারের তরফে কোনও সমস্যার কারণে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারেন তাঁরা।
তবে সেক্ষেত্রেও বেশ কিছু প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। জানা গিয়েছে, দেহ দুটির পা মাটিতে স্পর্শ করেছিল। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকেন ওই যুগল, তবে পা মাটিতে থাকবে কেন? পাশাপাশি, বর্ধমান ছেড়ে কেন মালদহে এল যুগল? জঙ্গলের এত গভীরেই বা তারা কীভাবে পৌঁছাল? এসব ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাই আদৌ কি আত্মঘাতী হয়েছেন ও যুগল নাকি খুন করা হয়েছে তাঁদের, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই পরিষ্কার হবে গোটা বিষয়, জানালেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই মৃত যুগলের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাঁরা মালদহে পৌঁছলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই রহস্যের কিনারা সম্ভব বলে অনুমান পুলিশের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.